২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:২৫

ইডেন কলেজে আবারও ছাত্রী নির্যাতন ছাত্রলীগ নেত্রীর

ইডেন কলেজ  © ফাইল ফটো

আবারও ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাসে। হলের কক্ষে আসন দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি এক সাধারণ ছাত্রীকে মারধর করেছেন। নির্যাতনের এ ঘটনা দেখে ওই ছাত্রীর সহায়তায় এগিয়ে আসলে অন্য সাধারণ ছাত্রীদেরও নানা হুমকি-ধমকি দেন ছাত্রলীগের ওই নেত্রী।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ইডেন মহিলা কলেজের শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মহুয়া আক্তার। তাঁকে মারধর করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকসানা আক্তার।

নির্যাতনের ঘটনার একটি লিখিত বিবরণে ঐ হলের পঞ্চম তলার ছাত্রীরা জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পঞ্চম তলায় ছাত্রলীগ নেত্রী রোকসানা আক্তার সাধারণ ছাত্রী মহুয়াকে নির্যাতন শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের কক্ষে থাকা ছাত্রীরা জড়ো হলে জানতে পারেন যে মহুয়াকে মারধর করছেন রোকসানা।

ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী জানিয়েছেন, রোকসানাকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি কক্ষে ওঠেন মহুয়া। এক বছর ধরে তিনি ওই কক্ষের মেঝেতে থাকছেন (ফ্লোরিং)। সম্প্রতি একজনকে ওই কক্ষে আসনের (বেড) ব্যবস্থা করে দেন রোকসানা। মহুয়া এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।  

বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রোকসানা মহুয়ার ওপর খেপে গিয়ে প্রথমে তিনি মহুয়াকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটান। এরপর কক্ষে থাকা বঁটি নিয়ে মহুয়াকে ধাওয়া করেন। এ সময় কক্ষের বাইরে থাকা অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে মহুয়াকে মারধর করেন রোকসানা। পরে অন্য ছাত্রী ও হল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বঙ্গমাতা ছাত্রীনিবাসের সুপার নাজমুন নাহারের দাবি, রোকসানা ও মহুয়ার মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। তবে পরে সমাধান হয়ে গেছে। রোকসানা ও মহুয়া একই কক্ষে থাকেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি, দুজনই দুজনকে আঘাত করেছেন। কোনো সিম্পল ব্যাপার নিয়ে হয়তো এটা হয়েছে। ঘটনার পর তাঁরা নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করেন। এ ঘটনায় কোনো ছাত্রী অভিযোগ দেননি বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রী রোকসানা আক্তার জানান, তিনি বাইরে রয়েছেন; এর ১০-১৫ মিনিট পর কথা বলতে পারবেন। এরপর তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

একই বিষয়ে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।