বেরোবি ছাত্র মাসুদের ছাত্রত্ব নিয়মিত করতে হাইকোর্টের রুল
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র মাসুদকে চলতি শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও তার ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণ করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল।
গতকাল রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং রেজিস্ট্রারকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেরোবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই সেশনে ক্লাস না করে পরবর্তী সেশনে (২০১৫-১৬) পুনঃভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টার সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে ২০১৫-১৬ সেশনের ২য় বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম একাডেমিক কাউন্সিলে মাসুদকে (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির জন্য সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন: আকিব থেকে সাকিব: চমেকে দুর্ধর্ষ ছাত্রলীগ
তবে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশেও কোনও কাজে দেয় নি। কন্টিনিউয়াস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে মাসুদকে শুধুমাত্র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। মাসুদকে প্রতিটি কোর্সের শুধুমাত্র ৫০ মার্কের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় মাসুদ ওই পরীক্ষায় পাস মার্কস তুলতে ব্যর্থ হয়।
পরে ২২ তম একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় মাসুদের আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভুক্তভোগী মাসুদ বলেন, হাইকোর্টের রুলজারিতে আমি এখন সন্তুষ্ট। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও একাডেমিক কাউন্সিলের উদাসীনতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও মাসুদের কন্টিনিউয়াস পরীক্ষা না নিয়ে তার প্রতি ইনজাস্টিস করা হয়েছে। মাসুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পরীক্ষা গ্রহণ করে তাঁর ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণের আদেশ প্রদান করেছেন।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে এখনও অফিশিয়ালি কোনো কাগজ আমরা পাইনি।