বসন্তকে বরণ করলো জবির দুই বিভাগ
নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা বিভাগ এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ পৃথক পৃথকভাবে বসন্ত বরণ উৎসব উদযাপন করেছে। আজ রবিবার( ১৩ ফেব্রুয়ারি ) চারুকলার বিভাগের আয়োজনে ইউটিলিটি ভবনের ছাদে এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের আয়োজনে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
বসন্ত বরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে চারুকলা বিভাগে প্রায় ৩০ রকমের ভর্তা-ভাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া, ঋতুরাজকে বরণ করতে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ আরো বেশ কিছু আয়োজন।
অপরদিকে, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত বরণে সকাল থেকেই বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলুদ পাঞ্জাবি এবং হলুদ শাড়ি পড়ে মেতে উঠেন উৎসবের আনন্দে। মিলনায়তনে দিনভর চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নুরে জান্নাত মীম বলেন, আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলবন্ধনের মাধ্যমে বাঙ্গালিয়ানাকে তথা বসন্তবরণ উৎসবকে সর্বাত্মক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
চারুকলা বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা আমাদের বিভাগে বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে বসন্ত বরণ উৎসব করেছি। আমরা চাই ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ককে দৃঢ় রেখে যেনো আগামী বছর আবারও এ উৎসব পালন করতে পারি।
আরো পড়ুন: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে সেজেছে টিএসসির চায়ের দোকান
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী রিশাত বলেন, করোনা মহামারির কারণে এক বছরের বেশি সময় অনলাইন ক্লাস করা হয়েছে। এরপর পরীক্ষা এবং বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে আমাদের বিভাগে বড় পরিসরে কোন আয়োজন হয়নি৷ অবশেষে এই বসন্ত আমরা বসন্ত উদযাপন করতে পেরেছি৷ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এবারের এই আয়োজন ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রুপা বলেন, করোনার পর এই প্রথমবার এতো বড় পরিসরে কোনো অনুষ্ঠান পেলাম আমরা। এ কারনে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী অনেক আনন্দিত। বাসন্তী রংয়ের শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে প্রত্যেকে এই বসন্তকে বরণ করে নিচ্ছি। এই ধরনের উৎসব প্রতিবারে উদযাপিত হোক আমাদের একাউন্টিং পরিবারে এটাই প্রত্যাশা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বসবাস করি। সারাবছর আমরা নানা উৎসব পালন করি। আমরা যখন বাইরের দেশে যায় তখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি,আমাদের দেশে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান সবাই একত্রে বসবাস করি এবং আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ধর্মীয় উৎসব উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে একত্রে পালন করি। আশা করি জবির প্রাঙ্গণেও আমরা আমাদের এ চেতনা বজায় রাখতে সহায়তা করবো।