বেরোবিতে চুরির ঘটনায় কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাড়ছে ছিঁচকে চোরের উৎপাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ব্যাটারি থেকে শুরু করে তেল, এমনকি মসজিদের জুতা রাখার বাক্সও চুরির তালিকা থেকে বাদ দেয়নি এই ছিঁচকে চোরেরা। তবে এসব ঘটনায় বেশিরভাগেই মিলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা।
নিরাপত্তায় উদাসিনতার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি বাস থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসের গ্যারেজে ঢুকে বাস থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনায় দুই নিরাপত্তা কর্মীকে শোকজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শোকজের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
শোকজকৃত কর্মচারী হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ড আনোয়ার হোসেন ও সুজন মিয়া। ঘটনার সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, ঘটনার দিন ভোর ৪টা ২৭ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে দুইজন চোর বাস গ্যারেজের দেওয়াল পাড়ি দিয়ে চুরি করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই জবির ২২ বিভাগে
এ ঘটনায় দায়িত্বরত সিকিউরিটি মো. সুজন বলেন, প্রচন্ড মাথা ব্যাথার কারণে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তারপর আর জানি না কি হয়েছে। সকালে উঠে দেখি ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে।
পরিবহন পুলের পরিচালক ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমি ঢাকাতে আছি, ব্যাটারি চুরি হয়েছে বিষয়টা আমি জেনেছি। এ বিষয়টি প্রক্টরকে বলেছি, তিনি সরেজমিনে গিয়ে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দোষীদের নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে মাসেও মসজিদের বারান্দা থেকে জুতা রাখার বাক্স চুরি হয়। এ ঘটনাটি তেমন খতিয়ে দেখেনি প্রশাসন। তার আগে রংপুরের মর্ডান মোড় এলাকায় বাস থেকে তেল চুরি করে খোলা দোকানে বিক্রি করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পরেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের দুই চালকসহ এক সহযোগী। তারা হলেন, বাসচালক আজিজুর রহমান ও উবাইদুল ইসলাম এবং সহকারী শ্রী মিলন কুমার দাস। তাদের আটক করেন, জব্দ করা হয় তেল। পরে টহলরত পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাসে ছিঁচকে চুরির ঘটনার সাথে কর্মচারীদের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, এমন ঘটনা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক বিষয়। দায়িত্বরতদের উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।