শিক্ষাগ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হতে হবে: খুবি উপাচার্য
শিক্ষার্থীরা যে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, আর কেউ তা পারে না; একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধই তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে আদর্শ মানুষ হতে হবে। দেশ, জাতি ও সমাজের নেতৃত্ব দিতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অভিলক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খুবির স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৫ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সিলিং এন্ড মোটিভেশন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই, সেশনজট নেই; এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। এই পরিবেশকে ধরে রেখে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার এবং শিক্ষা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোছাঃ তাসলিমা খাতুন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধান এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগতভাবে র্যাগিং ও মাদককে না বলে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। কর্মশালার প্রথম দিনে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল এবং শিক্ষা স্কুলের আওতাধীন ৬টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মুদ্রিত প্রথম আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলাম ও নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য মুদ্রিত সমন্বিত প্রসপেক্টাসেরও মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে উপাচার্য রিসোর্স পারসন হিসেবে ‘কী টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক একটি সেশন উপস্থাপন করেন।