বেরোবিতে প্রথম পিঠা উৎসব
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২৩) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।
উৎসবে বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তত ৩০ টি স্টল বসানো হয়। প্রতিটি স্টলই রকমারি পিঠার পসরায় সাজানো হয়। এসকল পিঠার মধ্যে ছিল পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধপুলি, মালপোয়া, ফুল পিঠা, জামাই পিঠা, বাঁধাকপির পাকোড়া, ঝিনুক পিঠা, রসপুলি ইত্যাদি।
উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবকে ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে সমগ্র ক্যাম্পাস। প্রায় প্রত্যেকটি স্টলেই ছিল শিক্ষার্থীদের ভিড়। দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ করা এই পিঠা উৎসবে এসে তারা বিভিন্ন স্বাদের পিঠা উপভোগ করেন। পিঠার স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি এ উৎসবে দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও খোলা থাকবে ঢাবির লাইব্রেরি-সেমিনার
পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটির আহবায়ক উমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, “পিঠেপুলি আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। আধুনিক যান্ত্রিক যুগে এসে পিঠার ঐতিহ্য ক্রমশ ম্লান হয়ে আসছে। পিঠা উৎসবের মতো দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।” এসময় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ বলেন, “পিঠা উৎসব আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এ ধরনের আয়োজন পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।”
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, প্রক্টর গোলাম রব্বানি, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।