৩০৯ আসন ফাঁকা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে
গুচ্ছভুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। ভর্তি কার্যক্রমে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশ করেও সব আসন পূরণ করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টির সপ্তম মেরিট পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১০৯ আসনের প্রায় ৮০০ সিটে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩০৯টি আসন ফাঁকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবারের ১১০৯টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭০৯টি আসন, মানবিক বিভাগের জন্য ১৬৯টি আসন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ১২০টি আসন রয়েছে। বাকি ১১১টি আসন সবার জন্য। সপ্তম মেধাতালিকা শেষে ফাঁকা থাকা ২০০ আসনের মধ্যে কোন ইউনিটে কয়টি আসন খালি রয়েছে সেটি জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ৮তম মেধাতালিকা থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় ষষ্ঠ ও সপ্তম পর্যায়ে মাইগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধসংক্রান্ত ১৯ ও ২৪ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিন শিক্ষার্থী একটি রিটটি করেন। তারা হলেন রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী। তাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থগিত নোবিপ্রবির ভর্তি কার্যক্রম, এখনও ফাঁকা ২০০ আসন
প্রাথমিক ভর্তির নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তি (প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ পর্যায়) অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকাশিত মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষে (২০২১-২২) ভর্তি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিব, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ ২৩ বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক এ আর এম মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গুচ্ছতে যাওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াতে যথেষ্ট ঘাটতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের সুনামও নষ্ট হয়েছে। এখনো শূন্য আসন পূরণ না হওয়ায় প্রথম বর্ষের ক্লাস দেরিতে শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি হওয়ায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা কেটে যাবে। এ ক্ষেত্রে খুবি গতবারের মতো এবারও একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অন্য বর্ষের সঙ্গে প্রথম বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কোনো ধরনের সেশন জটে পড়ার আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।