শিক্ষার্থী শূন্য ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন বুটেক্সের

কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছেন শিক্ষকরা
কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছেন শিক্ষকরা  © টিডিসি ফটো

১৯২১ সালের ব্রিটিশ ওয়েভিং স্কুল নামে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি কালের বিবর্তনে রূপ নেয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) নামে। ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে নামান্তর করা কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজিকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের ঘোষণা দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে এই দিনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপিত হয়ে আসছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এ অনুষ্ঠানে শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানের কথা না জানায় তারা ছুটিতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ অনুষ্ঠঅনে হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বেলাল বলেন, ২৩ ডিসেম্বর থেকে অফিসিয়ালি শীতকালীন ছুটি থাকলেও ক্লাস, ল্যাব, সিটি আগেই শেষ হওয়ায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন। তাই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম।
 
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হবে কি-না, এটা তারা জানতেন না। তাই ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মাত্র দুই দিন আগে অফিসিয়ালি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান সম্পর্কে নোটিশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাদ

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম নিজেদের অর্জন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের শিক্ষকেরা তাদের পরিচয় দিলে যেমন সন্মান পায়—বুটেক্সের শিক্ষকরা তা পায় না। এই ধারা পরিবর্তনে শিক্ষকদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া এসময় তিনি দ্রুত আরেকটি একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বলে আশা প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষার্থীদের না থাকার বিষয়ে অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারের নানা বিধিনিষেধের কারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ছিলো সংক্ষিপ্ত আয়োজন। তবে আয়োজনকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ছাত্রদের খাওয়া দাওয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে বুটেক্স ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ জয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য আলাদা বাজেটও দেয়া হয়।
 
কমিটির সদস্য সচিব ড. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, গত রবিবার আমাদের ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসে অনুষ্ঠান উদযাপনের রুপরেখা ঠিক করেছি। তবে আজকে ছাত্রপ্রতিনিধিরা কেন আসলো না এবং কি জন্য বাকি প্রোগ্রাম হলো না, সেটা বলতে পারছি। ছাত্রদের নিয়ে আয়োজন করার জন্যই তাদেরকে একটা বাজেট দেয়া হয়। কিন্তু বাজেটা নেয়ার পরও তারা কেন আসলো না সেটা আমাদের জানা নেই।

বাজেট নিয়েও কেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না? জানতে চাইলে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ জয় বলেন, আমি অসুস্থ; হলে আছি। আপনারা সভাপতির সাথে যোগাযোগ করেন। তবে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপুকে একাধিকবার কল-মেসেজ দিয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ