আফগানিস্তানে ৫ নারী শিক্ষার্থী আটক
আফগানিস্তানে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এই বিক্ষোভের কারণে পাঁচ নারী শিক্ষার্থীকে আটক করেছে তালেবান প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী কাবুল থেকে তাদের আটক করা হয়। খবর বিবিসির।
গত মঙ্গলবার মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান সরকার। এ ঘোষণার একদিন পরই বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের প্রবেশে বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে নারী শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করার সর্বশেষ ঘোষণা এটি। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পরিবেশের মূল্যায়ন করছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘একটি উপযুক্ত পরিবেশ’ প্রদান না করা পর্যন্ত মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে মাইগ্রেশন চালু রাখার দাবিতে আমরণ অনশনে অনি
এ ঘোষণার পর তালেবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বেফাঁস মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ড্রেস কোড অনুসরণ না করার জন্য নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারা এমন পোশাক পরে যেন তারা বিয়েতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে কাবুলে জড়ো হন নারী শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তারা মারধরের শিকারও হয়েছেন।
এদিকে, আফগান নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহবাঁন জানিয়েছে সৌদি আরব, পাকিস্তান, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে তালেবানের প্রতি আহবাঁন জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুও। পাকিস্তান সরকারও বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যন্টনি ব্লিঙ্কেন, কাবুলের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার যদি আফগান নারীদের তাদের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করতে থাকে তবে বাকি বিশ্বের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, আফগান নারী ও মেয়েদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এর খেসারত তাদের দিতে হবে।