আপত্তির পরও ‘অভিনব’ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নিয়োগ দিতে অনড় উপাচার্য
শিক্ষকদের আপত্তির পরও ‘অভিনব’ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নিয়োগ দিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। গত ২৭ নভেম্বর এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। ওই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে আজ একটি বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকবৃন্দের পক্ষে প্রেরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ধারা ১৯ এর উপ-দফা ২ এর ‘ঝ’ ও ‘ফ’ তে উল্লেখ আছে, নিয়োগের যে কোনো শর্ত সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। তবে ২ নভেম্বর প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের এক বিজ্ঞপ্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি বিশেষ শর্ত যুক্ত করা হয়েছে যা সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়নি। ফলে বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যা ইউজিসিও পৃথক একটি পত্রে উল্লেখ করেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিটি অবৈধ হওয়ায় আমরা উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছিলাম। উপাচার্য আমাদেরকে চিঠি প্রাপ্তির স্বীকারোক্তিও দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের আপত্তি সত্ত্বেও উপাচার্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে অনড় থাকায় হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারার বিষয়টি আরও জোরদার হয়েছে। সৎ উদ্দেশ্য থাকলে বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখা হত।
আরও পড়ুন: যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম জানান, কোনো নীতি পাশ করা ছাড়া অনুসরণ করতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে ইউজিসি খোঁজ নেবে।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বলা হয়, নির্দিষ্ট এক প্রার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকায় একই সঙ্গে দুই নীতি অবলম্বন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কুবি। এ বিজ্ঞপ্তি কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।