ইডেন কলেজে পিঠা উৎসবে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা
আসন্ন বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ইডেন কলেজে আয়োজিত হয়েছে বিজয় মেলা (পিঠা উৎসব)। মেলাটি ইডেন কলেজে মাঠে আজ (মঙ্গলবার) ১৩ ই ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে।
আজকের মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য এবং কলেজের সকল বিভাগের বিভাগীয় অধ্যাপক এবং সকল বিভাগের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।
ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলাকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নৃত্য, গান, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি। মেলায় ইডেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২৩ টি বিভাগের স্টল ভিন্ন ভিন্ন রুপে রঙ্গিন সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। প্রতিটি স্টলে ছিলো হরেক রকমের আয়োজন। কোনো স্টলে ছিলো হরেক রকমের পিঠা, আচার; আবার কোনো স্টলে ছিলো ফুচকা, পায়েস, পুডিং, চটপটি সহ হরেক পদের খাবারের আয়োজন। আরো ছিলো মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক কাঠের গহনা, শাড়ি ইত্যাদি। মেলাটি জুড়ে ছিলো ইডেন কলেজের শিক্ষর্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
মেলায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী বিপাশা বলেন, আজকের দিনটি সত্যিই অন্যরকম আনন্দের একটি দিন ছিলো আমার জন্য। আজ বিজয় মেলায় পিঠাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস এর প্রদর্শন করা হয়েছে। আমি ইতিহাস মাস্টার্স এর একজন ছাত্রী। আজ আমি আমার বিভাগের স্টল এ যুক্ত ছিলাম দিনটি অসম্ভব সুন্দর ও উপভোগ্য ছিল।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিয়া বলেন, আমি আগেও বিজয় মেলায় অংশ নিয়েছি কিন্তু এবারের বিজয় মেলায় আমার গত বছর গুলোর থেকে বেশি ভালো কেটেছে। প্রতিটি বিভাগের স্টল গুলো নানা রঙের কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছিলো এবং একেকটি স্টলের একেক রকমের নাম দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে। সেই সাথে পুরো দিনটি জুড়ে বান্ধবিদের সঙ্গে অনেক আনন্দ করেছি। হরেক রকমের পিঠা, পায়েস,চটপটি খেয়েছি আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি খাবারের স্বাদ ছিলো অন্য রকম। এবং খাবারের মূল্য আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছিলো।
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, আজকের আয়োজনটি ছিলো আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য। এই দিনটির জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদের পিঠা পায়েসের আয়োজন করে থাকে এবং নিজেরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে স্ব স্ব বিভাগের স্টল গুলো সাজিয়ে তোলে। আজকের বিজয় মেলাটি আমরা সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরেছি এবং শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেছে এটাই ছিলো আমাদের অন্যতম পাওয়া।