নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশাল মুক্ত দিবস পালন
ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়ার বটতলায় অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল ত্রিশাল উপজেলা। দিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশাল মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর একটি বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: ঢাবির বড় পর্দায় কোয়ার্টার ফাইনালের কোন ম্যাচ দেখানো হবে না
এরপর বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও 'চির উন্নত মম শির' এ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ত্রিশালের মানুষ সব সময় বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের স্বপক্ষে অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে তারাও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এই অঞ্চলকে মুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর আসার আগেই ত্রিশালকে তারা মুক্ত করেছিলেন। এই মুক্তি সম্ভব হয়েছিল ত্রিশাল বাসীর অকুতোভয় মানসিকতা ও সংগ্রামশীলতার মধ্য দিয়ে।
উপাচার্য বলেন, কাজী নজরুল ইসলামকে এই অঞ্চলের মানুষ বুকে ধারণ করেছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের মুক্তি ও সংগ্রামের আরেকজন অগ্রদূত। এটিও আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা আরও গর্বিত হই যে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন ত্রিশালেই। ফলে ত্রিশালের মানুষের গর্ব করার মতো অনেক আছে। আমরাও ত্রিশালের মানুষকে নিয়ে গর্ব করি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ছাড়াও দিবসটিকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ, বঙ্গবন্ধু হল, বঙ্গমাতা হল, দোলনচাঁপা হল, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি এবং কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।