সময় এখন আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের মূল্যায়নের: জবি ভিসি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের ১৬ বছর হয়ে গেছে। এখন সময় আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের মূল্যায়ন করার। এক্ষেত্রে আমার কমিটমেন্ট হচ্ছে, সবদিক বিবেচনায় ভালো যদি হয় আমার ফার্স্ট প্রেফারেন্স (প্রথম পছন্দ) আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২য় ব্যাচের (২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষা সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের স্মরণ করে জবি উপাচার্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য বলেন, তোমরা বৃহত্তর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছো আমি অনুরোধ করবো তোমাদেরকে যে তোমরা নীতি নৈতিকতা, দেশাত্মবোধ আর সততা নিয়ে কাজ করবে। তোমরা যেখানেই যাও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা এবং জাইকার জেন্ডার ও সোস্যাল ইনক্লুসন বিশেষজ্ঞ রাবেয়া রওশন। এছাড়া অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মনিরা জাহান বলেন, দেশ আর দশের সেবায় তোমাদের ছড়িয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটা শেখার পেছনে যে উদ্দেশ্য ছিলো সে উদ্দেশ্যগুলোকে ঠিক রেখে, কর্মজীবনে সে শিক্ষা তোমরা ব্যবহার করবে যাতে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আমার আশাবাদ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তোমরা সে আদর্শগুলো কাজে লাগাবে।
স্মৃতিচারণ করে শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম আরাবী বলেন, করোনার কারণে আমরা ৪ বছরের অনার্স কোর্স ৫ বছরে শেষ করতে হয়েছে। তবুও মনে হচ্ছে মাত্র ঐদিন আমরা শুরু করলাম। সত্যিই বিদায় জানানো খুব হৃদয়বিদারক।
এসময় ইনস্টিটিউটের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) জমকালো গালা ডিনারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজন। ওই গালা ডিনারে বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবং ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।