তিতুমীর কলেজে নবান্ন উৎসব উদযাপন
সরকারি তিতুমীর কলেজে ‘এসো মিলি নবান্নের উৎসবে’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে পিঠা উৎসব, নাটক, নবান্ন মেলা, ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) কলেজের নাট্যদলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে এ অনুষ্ঠান। ১৫টির মতো স্টল নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। সব স্টল গুলোতেই ছিলো ভিন্নধর্মী পিঠা, মাটির জিনিস, কাঠের তৈরি মেয়ের বিভিন্ন গয়না, শাড়ি। প্রধান আকর্ষণ ছিলো আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের স্টলে। তারা তাদের স্টলে নিজেদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌস আরা বেগম জানান, সরকারি তিতুমীর কলেজ বাংলাদেশের একটি অন্যতম কলেজ। এই কলেজে আমি যোগদানের পর থেকে দেখছি এখানে শুধু পড়ালেখা চলে না, শুধু পাঠদান চলে না। একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হতে হলে যে মূল্যবোধগুলো নিয়ে গড়ে হয়, তার সবকিছুই দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি এসে এই সাত দিনের মধ্যে দেখলাম এই কলেজে আঠারোটি ক্লাব আছে। এই আঠারোটি ক্লাবই খুব সক্রিয় এবং তাদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা উৎসাহ আমি ভীষণ আপ্লুত হয়েছি। আমি আশাবাদী আমারা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি এই তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেবে।
তিতুমীর কলেজ নাট্যদলের মডারেটর ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুয়েনা শবনম বলেন, সকলকে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আজকের অনুষ্ঠানের সকল কৃতিত্ব আমার নাট্যক্লাবের সকল মেম্বারদের তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আজকেই এতো সুন্দর একটা উৎসব হচ্ছে।
আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থুইচিং প্রু মারমা জানান, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো তিতুমীর কলেজ নাট্যদলকে এমন সুন্দর একটা উৎসব আয়োজনের জন্য। আমরা জানি আমন ধান কৃষকরা ঘরে তোলার পরে নতুন ধানের পিঠা দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়। ঠিক তেমনি আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ে জুমে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে একটা আছে বিন্নি চাল। ওই বিন্নি ধান আমরা আমাদের এলাকা থেকে সংগ্রহ করে আজকে আমরা পিঠা তৈরি করে আজকের এই স্টল সাজিয়েছি।
পরে বেলা বারোটার শহীদ বরকত মিলনায়তনের ভিতরে তিতুমীর কলেজ নাট্যদলের পরিবেশনায় আয়োজন করা হয় কবি জসীম উদ্দিনের লেখা বেদের মেয়ে নাটক। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মালেকা আক্তার বানু প্রমুখ।