কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির ‘বক্তব্য’র নিন্দা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটাে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর ‘বক্তব্য’ অপমানজনক ও অশিক্ষকসুলভ বলে মন্তব্য করেছেন দাবি করে সচেতন শিক্ষকবৃন্দের পক্ষে স্বাক্ষরবিহীন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ওই বিজ্ঞপ্তি সরবরাহ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে ১০৬ জন শিক্ষককে ‘দুর্বল জ্ঞানের’ অধিকারী বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী। এমন মন্তব্য শিক্ষকদের পেশাগত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকারের ওপর চরম কুঠারাঘাত। তিনি শুধু শিক্ষক সমাজকেই হেয়প্রতিপন্ন করেননি, বরং শিক্ষক সমিতির সভাপতির মতো একটি দায়িত্বশীল পদকেও কলঙ্কিত করেছেন। এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ কে গঠনতন্ত্রবিরোধী ও প্রহসনম‚লক দাবি করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বরাবর অনাস্থা চিঠি দেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা। অনাস্থা চিঠিতে ৬০ জন শিক্ষকের সরাসরি সাইন ও ৪৬ জনের ই-সাইন পাওয়া গেছে। চিঠিতে দেওয়া বক্তব্যের বিপরীতে অধ্যাপক দুলাল উল্লেখিত মন্তব্য করেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের বেতনের কর্তনকৃত অর্থ দ্বারা পরিচালিত। তাই কোনো বিষয়ে মতামত শিক্ষকের পেশাগত, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। একই সঙ্গে কোনো বিষয়ে ভিন্নমত, পর্যবেক্ষণ, নিজস্ব চিন্তাধারা প্রকাশ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত দর্শন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক মূলমন্ত্র। কোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকলে তা যৌক্তিক হলে যথাযথ শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব ও কর্তব্য।

শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আবেদনকারী ১০৬ জন শিক্ষকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এর ব্যত্যয় ঘটলে মানমর্যাদা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে শিক্ষকরা বাধ্য থাকবেন বলেও হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

স্বাক্ষরহীন সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি সরবরাহকারী শিক্ষক ওমর সিদ্দিকীর ভাষ্য, শিক্ষকদের অনেকগুলো স্বাক্ষর থাকায় সংযুক্তিসহ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়নি। আপনাদের কাছে আগেরটায় (অনাস্থা চিঠি) যে স্বাক্ষরগুলো রয়েছে, তাঁদের থেকে মতামত নিয়েই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, আমার কথাটি ঘুরিয়ে বলা হয়েছে। আমার কাছে কয়েকজন সংবাদকর্মী আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি বলেছি, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এটার ক্লিয়ারেন্সও আমি তাদের তাৎক্ষণিক দিয়েছি। তখন আমি বলেছি যে যারা অভিযোগ করেছে, তাদের জানাশোনার কমতি থাকতে পারে। তখন একজন আমাকে বলে উঠল, তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে উনাদের জ্ঞানের স্বল্পতা আছ।


সর্বশেষ সংবাদ