১৭ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৫৭

শতবর্ষী বিএম কলেজে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বাস মাত্র ৩টি! 

বিএম কলেজের বাস   © টিডিসি ফটো

মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ১৮৮৯ সালে সরকারি বি এম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বি এম কলেজের কলেজ বাস রয়েছে মাত্র ৪ টি, তার মধ্যে একটি নষ্ট । বর্তমানে চলমান রয়েছে মাত্র তিনটি বাস। ত্রিশ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৩টি বাস খুবই অপ্রতুল। এতে পরিবহন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কলেজের সিংহভাগ শিক্ষার্থী। 

অত্র কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বরিশাল শহরের স্থানীয় খুবই কম। বেশিরভাগই রয়েছেন পটুয়াখালী, বরগুনা, আমতলী, বাকেরগঞ্জ, ঝালকাঠি, স্বরূপকাঠি ও গৌরনদী ইত্যাদি অঞ্চলের। উপরে উল্লেখিত সকল অঞ্চলের মধ্যে কলেজের বাসগুলো বাকেরগঞ্জ, ঝালকাঠি ও গৌরনদীতে শিক্ষার্থীদের সেবা দিচ্ছে। কিন্তু বাকি শিক্ষার্থীরা কলজে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া চালু থাকলেও বরিশালের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরিবহন মালিকরা হাফ ভাড়া নিচ্ছেন না, হাফ ভাড়া দিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সাথে বাস স্টাফরা দুর্ব্যবহার করেন।

বি এম কলেজ ছাত্র নেতা সুমন ডাকুয়া ও আসাদুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, কলেজের নিজস্ব পরিবহন না থাকায় দূর থেকে এসে নিয়মিত ক্লাস করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে কষ্টকর হয়ে যায়। প্রতিদিন ফুল ভাড়া দিয়ে এসে ক্লাস করাও অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব হয় না। 

সকল রুটে বাস চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছেন আসছেন শিক্ষার্থীরা। পটুয়াখালী-বরগুনা-আমতলী-স্বরূপকাঠি রুটে বাসের দাবি জানিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়াকে স্মারকলিপি প্রদান করেন অত্র কলেজে অধ্যয়নরত এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিএম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমার কলেজের বাস মাত্র ৪ টি তার মধ্যে একটি নষ্ট।  বাকি ৩ রুটে তিন টা বাস চলমান রয়েছে। নষ্ট বাসটি ঠিক করতে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।’ 

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বাস চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। আমি উপর মহলে আবেদন করে রেখেছি। এখন সকল রুটে বাস দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমার কলজে সকল রুটে বাস দেয়ার মত অর্থও নাই। তবে আমি চেষ্টা করতেছি সকল রুটে ভাড়া গাড়ি দেয়ার। সকল রুটে গাড়ি দিতে আমার আরো ৪/৫ বছর সময় লাগবে।’