ইডেন কলেজ মাঠে চলছে ডিজিটাল সমাবর্তনের প্রস্তুতি

ইডেন কলেজ মাঠে প্যান্ডেল
ইডেন কলেজ মাঠে প্যান্ডেল   © টিডিসি ফটো

আগামী ১৯ নভেম্বর ( শনিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও উপাদনকল্পে পরিচালিত ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের স্ক্রিন সমাবর্তন হবে ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ মাঠে। এই উপলক্ষ্যে ইডেন মহিলা কলেজের মাঠে তৈরী হচ্ছে প্যান্ডেল। এদিকে স্ক্রিন সমাবর্তন নিয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ থাকলে ও আনন্দ উল্লাস করেতেও দেখা গেছে তাদেরকে। 

সমাবর্তন উপলক্ষে ইডেন মহিলা কলেজে আগামী ১৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১.০০ টা থেকে বিকাল ৫.৩০ টা পর্যন্ত এবং ১৮ নভেম্বর (শুক্রবার)  সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আমন্ত্রণপত্র, একাডেমিক কস্টিউম ও গিফ্ট বিতরণ করা হবে। 

৫৩ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যুতে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য গ্র্যাজুয়েটদেরকে বিকাল তিনটার মধ্যে প্যান্ডেলে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। 

স্ক্রিন সমাবর্তন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লুতফুরন্নাহার ফুরকান নামে এক গ্র্যাজুয়েট বলেন, শুরু থেকে সমাবর্তন নিয়ে  আমরা অনেক উৎসাহি ছিলাম। ঢাবির সাথে একই মাঠে সমাবর্তনে অংশ গ্রহণ করবো। কিন্তু যেদিন শুনলাম ঢাবির সাথে সমাবর্তনে অংশ নিতে পারবো না অনেকটাই আগ্রহ কমে গিয়েছিলো সমাবর্তন করার। কিন্তু এটাতো প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার সমাবর্তনে অংশ নেবে।  কিন্তু মনে ক্ষোভ রেখেই এবারের সমাবর্তনে অংশ নিতে হচ্ছে। আমাদেরকে বলা হয়েছিলো দুই দিন আগে কস্টিউম এবং গিফ্ট দেওয়া হবে। এখন আবার বলা হচ্ছে সমাবর্তনের একদিন আগে দিবে এবং সমাবর্তনের দিনই জমা দিতে হবে। আমার মনে হচ্ছে এটার জন্য আমাদের সময় দিলে ভালো হতো।  এবং টাকার পরিমাণটাও অনেক বেশি ধরা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: সমাবর্তনের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে যা করা যাবে, যা করা যাবে না

তিনি আরো বলেন, আমরা যেহেতু সমাবর্তনে অংশ নিবো তা হলে ঢাবির সাথেই একই মাঠে না নিয়ে আমাদেরকে কেনো স্ক্রিন সমাবর্তনে অংশ নিতে হচ্ছে। ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বাদে বাকি ১২৭ টি কলেজ যদি ঢাবির সাথে অংশ গ্রহণ করতে পারে এ ক্ষেত্রে  আমরা কেনো পারবো না? বা আমাদের কেনো নেওয়া হয়নি। 

সমাবর্তনে অংশ নিতে ইচ্ছুক সাদিয়া ইসলাম বলেন, ঢাবির সাথে একই মাঠে সমাবর্তন করতে না পারাটা এটা আসলেই আমাদের জন্য অনেক দুঃখ জনক। এবং এতে আমাদেরকে অপমানিত করা হচ্ছে। সরাসরি ঢাবির সাথে অংশ নেওয়া এবং স্ক্রিনে দেখা দুটোই অনেক পার্থক্য। আর এতো অল্প সময়ের আয়োজন আমাদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। 

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সব মিলিয়ে যদি অনুভূতির কথা বলি ছোট বেলা থেকেই অনেক ইচ্ছে ছিলো এই কালো গাউনটা গায়ে পড়বো। মূলত সেই জন্যই এই অপমানজনক স্ক্রিন সমাবর্তনে অংশ নেওয়া। যার কোনোটাই মনের মতো হলো না। পরেরবার থেকে যেন সমাবর্তনে ঢাবির সাথে একি মাঠে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজকে।

এই দিকে সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আলাদা কমিটি করা হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠুভাবে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষ করতে পারবো। 


সর্বশেষ সংবাদ