জবিতে গ্রামীণ অনুষঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন

জবিতে গ্রামীণ অনুষঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন
জবিতে গ্রামীণ অনুষঙ্গে নবান্ন উৎসব পালন  © টিডিসি ফটো

বাঙালির নবান্ন উৎসব আজ। ফসলকেন্দ্রিক সবচেয়ে প্রাচীন উৎসবে মাতার আনন্দঘন দিন। হেমন্তের আগমনে  নতুন ধানে হবে নবান্ন। গ্রামীণ জনপদ সহ শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনের সাথে উদযাপিত হয় ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) গ্রামীণ পিঠাপুলিসহ নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) 'নবান্ন উৎসব ১৪২৯' উদযাপিত হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের আয়োজনে গ্রামীণ অনুষঙ্গে এ উৎসব হয়। 

বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঁশি, একতারা সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান দেখা যায়। এসময় গ্রামীণ পিঠাপুলির মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আগতদের বরণ করা হয়। ‘নবান্নের নতুন ধানে, হাসি ফুটুক সকল প্রাণে ’ এই স্লোগানে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নবান্নকে।

আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর করুন অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে

‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা’ এবং ‘চাঁন্দের আলো লাগে ভালো, চাঁদনী পসর রাইতে’ গান দুটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী সৃজনী, স্রাব্দী, বিদিশা, মিশু, নুমং, মুহিত, রুদ্র এবং জান্নাত। পরবর্তীতে গ্রামীণ জনপ্রিয় লোক সংগীত বেদের মেয়ে জোসনা,  চুমকি চলেছে একা পথে, চাঁন্দের বাত্তি গানে নৃত্য পরিবেশন করেন মৃদুলা, মুহিত ,সৃজনী, স্রাব্দী, মিশু ও নুমং।

কবি- রূদ্র মোহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত খুব কাছে এসো না কবিতাটি আবৃত্তি করেন স্রাব্দী তালুকদার এবং তুমি যদি এইহানে থাকতা কবিতাটি আবৃত্তি করেন মিশু। অনুষ্ঠানে একক  পরিবেশন করেন তৃষা রুদ্র এবং সিয়ামুল ইসলাম তুহিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.বজলুর রশীদ খান। এসময় তিনি বলেন, ‘নবান্ন উৎসব গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করে। গ্রামীণ সত্তাকে পুনঃজাগরণ ঘটাতে কোলাহলপূর্ণ এ নগরীতে এ উৎসবের গুরুত্ব অনেক বেশি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ