ঢাকা কলেজে প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা
রাজধানীর ঢাকা কলেজে ৯ম প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ঢাকা ‘ক’ অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা সহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অলিম্পিয়াডের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর দুপুরে প্রতিযোগিরা পরীক্ষায় অংশ নেন। অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শরীফা সুলতানা।
আয়োজকরা জানান, অলিম্পিয়াডে ঢাকা অঞ্চলের ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘ক' ও ‘খ' গ্রুপের ১৩৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। অলিম্পিয়াডে ‘ক’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেমিকা। রানার্স আপ হয়েছেন ঢাকা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রেদওয়ান বিন আমিন। একইসাথে ‘খ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামসুদ্দোহা ও রানার্স আপ হয়েছেন একই প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সংখ্যার রেকর্ড
পরে বিকেলে ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট ও সনদ। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অলিম্পিয়াডের পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন ও ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রাণিবিদ্যাকে প্রিয় করে তুলতে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে ২০১৪ সন হতে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার এই অলিম্পিয়াড এর ৯ম আসর। বিষয় হিসেবে প্রাণিবিজ্ঞানকে অধিক পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তোলাই এই অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন বলেন, অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে প্রাণিবিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোও অন্যতম উদ্দেশ্য। সেজন্য শুধুমাত্র ঢাকাতেই নয় বরং সারা বাংলাদেশকে ১০টি অঞ্চলে বিভক্ত করে অলিম্পিয়াড পরিচালিত হচ্ছে। প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড দেশের প্রাণিবিজ্ঞানীদের বিশেষ করে প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আয়োজক কমিটির সদস্য ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইরম জাহান জানান, প্রতি অঞ্চলে 'ক' ও ‘খ' দুই গ্রুপে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছেন। যারমধ্যে ‘ক’ গ্রুপে অংশগ্রহণ করেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ও ‘খ’ গ্রুপে অংশ নেন স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। কুইজ ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে বিজয়ী বাছাই করা হয়েছে বিজয়ীদেরৃ। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিটি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ নির্বাচন করে বিজয়ীদের দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদ। ১০টি অঞ্চল হতে নির্বাচিত দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে আয়োজন করা হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অলিম্পিয়াডে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারিয়া সুলতানা, হাসরাত আহমেদ, তাহসিনা জেরিন, তহুরা খাতুন, সাবিনা রহমান, মোছাঃ সেলিনা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক নাসরীন জাহান, লুনা শারমিন, আফরোজা নাছরীন, রুনা লায়লা, মাহমুদা খাতুন, শামসুন নাহার এবং প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।