শীতের শুরুতেই রাবিতে জমে উঠেছে পিঠার আড্ডা 

পিঠা বিক্রি করছেন দোকানিরা
পিঠা বিক্রি করছেন দোকানিরা  © টিডিসি ফটো

প্রকৃতিতে বইছে শীতের আমেজ। শীতকে উৎসবমূখর করতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া ও তাপসী রাবেয়া হলের সামনের বটতলায় জমে উঠেছে পিঠা আড্ডা। বিকেল হলেই সেখানে পিঠা খেতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, শীতের আমেজ বাড়াতে পিঠা অবশ্যই সহায়ক। শীতে ছুটি কম থাকায় আমরা অনেকে বাড়ি যেতে পারিনা। ফলে এখানে খেয়েই পিঠার স্বাদ উপভোগ করি।

তবে দামের তুলনায় পিঠার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে নিম্নমানের আটা দিয়ে তৈরী হচ্ছে এসব পিঠা। ক্রেতা ধরে রাখতে তাড়াহুড়ো করে পিঠা তৈরী করছেন দোকানিরা। ফলে ভিতরে শক্ত ও আটা থেকে যায়। এদিকে শখের বসে বন্ধুদের সাথে পিঠা খেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকে পিঠা খেয়ে অসুস্থও হচ্ছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে এবং রোকেয়া ও তাপসী রাবেয়া হলের সামনের বটতলায় পিঠার দোকান বসেছে।

আরও পড়ুন: আমাদের উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী।

বৃহৎ পরিসরে জমে উঠা বটতলার এই পিঠা আড্ডায় বিকেল হলেই পিঠা খেতে ভিড় জমান বহিরাগতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই আড্ডা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। শীতের আমেজকে উৎসবমুখর করতে এসব দোকানে তৈরী হচ্ছে নানা রকম পিঠা।

এরমধ্যে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা রয়েছে। তবে চিতই পিঠা আগে পাঁচ টাকা বিক্রি হলেও এখন দাম বাড়িয়ে ৮/১০ টাকা, ভাপা পিঠা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা এবং তেলের পিঠা ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন ধরণের ভর্তাবাটির জন্য আলাদা ১০ টাকা দিতে হয়।  তবে দামের তুলনায় মান খুবই নগন্য এবং অধিক চাহিদা থাকায় নামমাত্র ভেজে এসব পিঠা বিক্রি করা হচ্ছে।

এই ব্যাপারে বটতলার পিঠা বিক্রেতা মাসুদ আলী জানান, দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দাম আগের থেকে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ক্রেতার অধিক চাহিদার জন্য অনেক সময় পিঠা ঠিকমতো ভাজা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে এ বিষয়ে অধিক সচেতন থাকবেন।

অপরদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পিঠা আড্ডাকে কেন্দ্র করে ছাত্রী হলের আশেপাশে বহিরাগতদের বিচরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই মেয়েদের দিকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছেন এবং ছোট রাস্তায় দ্রুত গতিতে বাইক নিয়ে চলাফেরা করছে। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তাই এই জায়গা থেকে অন্যত্র দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, পিঠা আড্ডাকে কেন্দ্র করে ছাত্রী হলের আশেপাশে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ সম্পর্কে অবগত আছি। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করছে এবং ছাত্রী আবাসিক হলের চারপাশ নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence