০১ নভেম্বর ২০২২, ১৭:২৩

সিলেট এমসি কলেজ অধ্যক্ষের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের সফল সমাপ্তি

গতকাল ৩১ অক্টোবর ছিল অধ্যক্ষের শেষ কর্ম্ দিবস  © টিডিসি ফটো

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যাপক পান্না রানী রায়। গতকাল ৩১ অক্টোবর ছিল তার শেষ কর্ম্ দিবস। এর আগে অবসরে যান এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালেহ আহমদ। পদটি খালি হওয়ায় পান্না রানীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পান্না রানী রায় এর আগে এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

৪৮ তম এই গুণী অধ্যক্ষকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন কলেজের সকল শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 
 
কৃতিত্ব ও অবদান:-
পান্না রানী রায় সিলেট শহরের লালদিঘিরপার এরাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা – রঙ্গলাল রায় ও মাতা –ছায়া রানী রায়। সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসি পাশ করেন। তিনি সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে মানবিক বিভাগে সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজবিজ্ঞানে বি.এস.এস (সম্মান) ও এম.এস.এস ডিগ্রী লাভ করেন । 

আরও পড়ুন: যেকোন সময় ৪০তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ

তিনি ১৯৯২ সালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে ২১ নভেম্বর প্রভাষক হিসেবে নওগাঁ সরকারি বি.এম.সি মহিলা কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে প্রভাষক হিসাবে নরসিংদী সরকারি কলেজ, সহকারী অধ্যাপক হিসাবে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন।
 
মুরারিচাঁদ কলেজ সিলেট (সমাজবিজ্ঞান বিভাগের) সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে যোগদান করে প্রথমে উপাধ্যক্ষ এবং পরে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইংরেজিতে অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি  তার কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর সূচীকর্মে ভূয়শী প্রশংসা অর্জন করেন। 

সমাজবিজ্ঞানের উপর তাঁর লিখিত গ্রন্থসমূহ 'প্রারম্ভিক সমাজবিজ্ঞান, ধ্রুপদী সমাজতাত্ত্বিক মতবাদ, সামাজিক সমস্যা, বাংলাদেশের সমাজকাঠামো (যৌথ), সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি, অপরাধবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানের উপাদান, আধুনিক সমাজতান্বিত মতবাদ, ধ্রুপদী সমাজচিন্তা, সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি ৷ তার দুটি কাব্যগ্রন্থ 'আমি নারী' ও 'আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ'। ২০১৬ সালে খান মুহাম্মদ মঈনউদ্দীন পদক লাভ করেন ।