সিত্রাংয়ের আঘাতে বন্ধ আরও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১১:০৪ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১১:০৪ PM
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এইচ এম আলী হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২৫ অক্টোবর শুধুমাত্র একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ খোলা থাকবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি জরুরি পরিসেবা যথারীতি চালু থাকবে।
এর আগে এদিন বিকেল পর থেকে জানা যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও। অন্যদিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাংয়ের আঘাতে ৩ বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের উপকূলের প্রায় প্রতিটি জেলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।