ইউএস-বাংলা সাহিত্য সম্মাননা পাচ্ছেন বেরোবির দুই শিক্ষার্থী
তরুণ লেখক হিসেবে ইউএস-বাংলা সাহিত্য সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবির) দুই শিক্ষার্থী ।তাদের মধ্যে এক জন ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুকুল ও অপরজন অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে বাংলাদেশ, ভারতসহ বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসী কবিদের মধ্য থেকে ১০০ জন নবীন ও প্রবীণ লেখকদের এই সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হবে। তারমধ্যে শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলামের কাব্যগ্রন্থ- “একমুঠো সুখ” (২০২২) ও মনিরুল ইসলাম মুকুলের কাব্যগ্রন্থ- “শান্ত মেঘে লুকিয়ে তুই” (২০২০) কাব্যগ্রন্থের জন্য তাদের এই সম্মাননা দেওয়া হবে।
মনিরুল ইসলাম মুকুলের প্রকাশিত বইসমূহ কাব্যগ্রন্থ “শান্ত মেঘে লুকিয়ে তুই” (২০২০), “মৃত্যুর পান্ডুলিপি” (২০২১), “শয়তানগ্রহ” (২০২২)। এ ছাড়া আল-আমিন ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “এক মুঠোসুখ”। তার প্রকাশিত প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ “সাহিত্যের কুসুম জ্যোতি”।
শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ইউএস-বাংলার প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ মোঃ সফিনূর স্যার মিশিগান আমেরিকা থেকে আমাকে যখন জানালেন, আমিও এবার ইউএস-বাংলা সাহিত্য সম্মাননা -২০২২ এর জন্য নবীন শাখায় মনোনীত হয়েছি। তখন মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করছিলো। আর মনে হচ্ছিল এই উৎসাহ আর উদ্দীপনা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। একজন লেখক কখনও সম্মাননা পাওয়ার জন্য লেখা লেখেননা। লেখা হচ্ছে সাহিত্য প্রেমিদের কাছে আত্মার খোরাক। মনের কল্পনাগুলো একটা সাদা পাতায় স্থান দেন লেখক! সে পাতায় ফুটে ওঠে সমাজ, দেশ, প্রেম পূর্ণতা আর অপূর্ণতার গল্প।
শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম বলেন, ইউএস-বাংলা সাহিত্যে সংগঠনে উপমহাদেশসহ বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী প্রায় ১২ হাজার কবি সাহ্যিতিক আছে। এখানে বাংলাদেশ, ভারত এবং প্রবাসী অনেক গুণী কবি সাহিত্যিক রয়েছেন। এই মহান মানুষগুলোর মাঝে আমি থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই অর্জনের জন্য সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যাদের অনুপ্রেরণা আজকে আমার এই অর্জন। সামনের দিকে সাহিত্য নিয়ে আরও অনেকদুর এগিয়ে যেতে চাই।
এ বিষয়ে ইংরজেী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসিফ আল মতিন বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আমাদের বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী মুকুল সম্প্রতি ইউ এস বাংলাসাহিত্য পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। সাহিত্যের শিক্ষার্থী হিসেবে মুকুল আলির লেখাগুলো অনেক বাস্তবমুখি এবং প্রানবন্ত, যা ইতিমধ্যে পাঠক মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। সাহিত্যের প্রতিতার এই আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি তার এই অগ্রযাত্রায় সাফল্য কামনা করি।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন সাহিত্যে আলো ছড়াচ্ছেন। তার সৃজনশীল কাজকে আমরা উতসাহীত করি। সাহিত্যের তার প্রতিভা আরও ছড়িয়ে যাক পাঠকের মনে। বাংলা সাহিত্যের পথে অনেকদূর এগিয়ে যাক।
তরুণ লেখকদের উদ্দেশ্যে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘মুকুল এবং আল আমিন দুইজন দুইধারার লেখক। আমি তাদের দুইজনের লেখা পড়েছি। দুইজনই অনেক ভালো লেখে। তাদের সমানে একটা বিশাল সম্ভাবনা কাজ করছে। আর এই সম্ভাবনা গুলোকে উৎসাহিত করে নানান রকম সন্মাননা, পুরস্কাার ও প্রাপ্তি। তারা এই যে সন্মাননা গুলো পাচ্ছে এটি ওদের কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। মুকুল ও আল আমিন আরও এগিয়ে যাক। তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এর ফলে আমরা যারা সাহিত্যের ও সংস্কৃতির সঙ্গে আছি, আমরাও কোনো নাহ কোনো ভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরার প্রেরণা খুঁজে পাবো, উৎসাহিত হবো।