শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর হবে ঢাকা কলেজ প্রশাসন
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ কঠোর হবে ঢাকা কলেজ প্রশাসন। একইসাথে কোন শিক্ষার্থী যদি আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজের সাথে জড়িত থাকে তবে তার দায় ও কলেজ প্রশাসন নেবে না।’
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাতে সাত শিক্ষার্থীকে শোকজ ও অঙ্গীকারনামা গ্রহণের বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর সাত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অঙ্গীকারনামার স্ট্যাম্পের ছবি প্রকাশ করা। ১০০ টাকা মূল্যের সেই স্ট্যাম্পে একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ৪ জন শিক্ষার্থী, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ২জন শিক্ষার্থী ও মানবিক বিভাগের জন ১ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অঙ্গীকার ও স্বাক্ষর রয়েছে।
আরও পড়ুন : র্যাংকিংয়ে আমাদের সমপর্যায়ে থাকা ঢাবিকেও অভিনন্দন: নর্থ সাউথ ভিসি
যাতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা স্বাক্ষরকারী অভিভাবকগণ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমাদের নিম্নবর্ণিত সন্তানরা ঢাকা কলেজের সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবে না। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব এবং তাদের সকল প্রকার দায়-দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করব। গত ১৯ অক্টোবর ঝিগাতলা পাঠান রেস্টুরেন্টের ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরের কোন অনভিপ্রেত ঘটনায় আমাদের সন্তানেরা জড়িত থাকলে আমরা এর জন্য দায়ী থাকবো। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যেকোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব’
এই অঙ্গীকারনামার ব্যাপারে অধ্যক্ষ বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থীর জন্য কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন হোক তা আমরা চাইনা৷ ১৯ অক্টোবর জিগাতলার একটি রেস্টুরেন্টে এসব শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। যার জন্য কলেজ প্রশাসন কে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।হোস্টেলের যেসব শিক্ষার্থী এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল আমরা তাদের সিট কেটে দিয়েছি। এই অঙ্গীকারনামা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বার্তা। ভবিষ্যতে কেউ যদি আবারও এ ধরনের কাজের সাথে যুক্ত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।’ তাই সকল প্রকার অনভিপ্রেত পরিস্থিতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী যেকোন কাজ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এখন থেকে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা কলেজ দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। স্বাধিকার আন্দোলন সহ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকা কলেজের অবদান অনস্বীকার্য। দেশবরেণ্য বিভিন্ন ব্যক্তিরাও এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। তবে বর্তমানে কিছু শিক্ষার্থীর জন্য নানাভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমরা তাদের ব্যাপারে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে সবসময়ই চাই ঢাকা কলেজে পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকুক। বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে অবারিত সুযোগ রয়েছে। কোনভাবেই এই পরিবেশ বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাইনা।’