ইডেন কলেজছাত্রীকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রী নির্যাতন ও অন্যান্য বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় নুসরাত জাহান কেয়া নামে এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি, মানসিক নির্যাতন ও জোর করে অঙ্গীকারনামা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী নুসরাত মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী ও ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। এ নিয়ে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
কেয়া বলেন, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে তিনি মার্কশিট নিতে ক্যাম্পাসে গেলে তার বিভাগের শিক্ষকরা তাকে আটকে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে টানা ৬ ঘন্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এতে এ বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুপ্রিয়া দাসকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ৫ বছর আগের ডাকাতির যে ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ
শিক্ষার্থী বলেন, অধ্যক্ষের রুমে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৩৫ জন শিক্ষক মিলে আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে জোর করে লিখিত নেন। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার বাবাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় এবং কলেজে এসে আমাকে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বাবা-মা গ্রামে থাকায় স্থানীয় অভিভাবকে ডেকে নিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া হয়েছে। শিক্ষকদের এমন জঘন্য কাজে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এর আগেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে দাবি করে কেয়া বলেন, আমার কাছ থেকে গত সপ্তাহেও লিখিত নেওয়া হয়েছিল। হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, সার্টিফিকেট আটকে দেবে, ছাত্রত্ব বাতিল করে দেবে।
এসব ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অপরাধ হচ্ছে- আমি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের কোন্দল-সংঘর্ষের প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলাম।
এবিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্ট্যাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।