১৬ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৪৫

অকারণে গাছ কাটার প্রতিবাদে বেরোবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবির) স্বাধীনতা স্মারকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন স্মৃতি স্বরূপ রোপণ করা তেতুল গাছ কাটার প্রতিবাদে ও এর কারণ জানতে চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বৃক্ষপ্রেমী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

১৬ অক্টোবর (রবিবার ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিজয় সড়কের পাশে গাছ কর্তনের স্থানে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, ১২অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন উপলক্ষে প্যান্ডেল সাজানোকে কেন্দ্র করে আগের দিনে (১১অক্টোবর) মাঠের পাশে থাকা স্বাধীনতা স্মারকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন স্মৃতি স্বরূপ রোপন করা তেতুল গাছটি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদের আদেশক্রমে কেটে ফেলা হয়। অবশ্য ১৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে  অকারণে গাছ কাটায় গাছে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃক্ষপ্রেমী শিক্ষার্থীরা। 

আরও পড়ুন: ঢাবি-চবিতে না থাকলেও সেকেন্ড টাইম থাকছে অন্তত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আজ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মাহমুদ আল ফয়সাল বলেন, ভর-দুপুরে আমি যখন মাঠে দাড়িয়ে ছিলাম তখন দেখি হঠাৎ করে একজন লোক গাছটি কাটতে শুরু করে। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি গাছটি কেন কাটা হচ্ছে। তখন সে অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদকে দেখিয়ে বলেন তার আদেশে গাছটি কাটছেন। আমি গাছটি কাটতে নিষেধ করি তারপরেও আমার কথা না শুনেই গাছটি কেটে ফেলা হয়। আমার মনে হয় স্যারের একক সেচ্ছাচারিতার কারণে গাছটি কাটা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মামুন শাকিল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যত প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে শুধু মাত্র অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদের অবদান নয়। কিন্তু তিনি একাই ক্রেডিট নিতে চান। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা গাছ লাগিয়েছে। অন্যান্য স্যার এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিজস্ব অর্থায়নে গাছ রোপণ করেছেন। তাই কাউকে না জানিয়ে, একক সিদ্ধান্তে কেউ গাছ কাটতে পারে না। 

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সাজ্জাত হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরিকল্পিতভাবে লাগানো এবং কাটা হচ্ছে গাছ। এমনকি যত্রতত্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠেও গাছ লাগানো হচ্ছে। এতে করে আমাদের খেলাধুলার সমস্যা হচ্ছে। 

আরেক শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা স্মারকের স্মৃতি হিসেবে এই গাছটি লাগানো হয়েছিল। এটা কাটা মানে স্বাধীনতাকে অপমান করা, স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করা। শিক্ষার্থীদের দাবি হচ্ছে, কর্তনকৃত গাছটি কাটার অপরাধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গাছে যে বাকি অংশটুকু রয়েছে সেটুকু নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বাকি গাছগুলোকে পরিচর্যার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উক্ত ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০১ টি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। কি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংস্থার ফান্ড ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে যে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে, তাদের ভূমিকাকে কেন অস্বীকার করা হচ্ছে, সকলের কাছে এর সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।

উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষাথীরা ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।