জবির ভর্তি আবেদন শুরু কাল, থাকছে জিপিএ নম্বর
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন আগামীকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া গতবারের ন্যায় চলতি চলতি শিক্ষাবর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তিতে থাকছে জিপিএ নম্বর। একইসঙ্গে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়টির পূর্ণাঙ্গ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির এক সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত কয়েকদিন থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ওপর নম্বর রাখা না রাখা নিয়ে বিভক্তি দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ বলে আসছিলেন, এবার জবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ নম্বর থাকছে না। অপর একটি পক্ষ এর বিরোধীতা করে বলছেন, গত শিক্ষাবর্ষের মতো এবারও জবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম জিপিএ নম্বর রাখা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিভাগভিত্তিক যোগ্যতা প্রকাশ, আসন ১১০৯টি
ভর্তিচ্ছুদের বিভক্তি দূর করে সভায় উপস্থিত এক অধ্যাপক জানান, গতবছরের ন্যায় ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে জিপিএ ২০ নম্বর নির্ধারণের বিষয়ে আমরা গত মিটিংয়ে প্রথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এর মধ্যে এসএসসিতে ১০ ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর উপর ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়। এ সিদ্ধান্ত আজকের সভায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল সোমবার বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি আবেদন শুরু হবে।যা চলবে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ভর্তির বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল ১২টার আগেই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। জবির ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় বিশ্ববিদ্যায়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গুচ্ছ কমিটির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি ৫০০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে নির্ধারিত ফি দিলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইউনিটের সাবজেক্ট পছন্দ করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। পৃথক ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত ফি প্রয়োজন হবে না।
অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আবেদনের পর শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন সম্পন্ন হবে।