১০ অক্টোবর ২০২২, ০০:৩৬

কুবিতে প্রথম দিনে হলে উঠলো ১৪৫ জন

কুবি লোগো ও আবাসিক হলের তালা খোলার মুহূর্ত  © টিডিসি ফটো

ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কারণে সিলগালা করে দেওয়ার পর  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলেছে। রোববার (৯ অক্টোবর) ১৪৫ শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন। 

তবে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারছেন। এক্ষেত্রে যাদের আবাসিকতা নেই তবে হলে থাকছেন, তাঁদেরকে হলে থাকার ফরম পূরণ করে হলে উঠতে হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নতুন করে ৭৭ শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন। এ হলে ৪৪৮ সিটের বিপরীতে গাদাগাদি করে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। এদের মধ্যে আগে আবাসিকতা ছিল শুধুমাত্র ১৪০ শিক্ষার্থীর। কাজী নজরুল ইসলাম হলে ১৬০ সিটের বিপরীতে থাকেন দু’শতাধিক শিক্ষার্থী। এ হলে পূর্বে আবাসিকতা ছিল ৫২ জনের। রোববার নতুন করে আবাসিকতা নিয়েছেন ৪৫ জন। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে ১৪৪ জনের আবাসন ব্যবস্থার বিপরীতে থাকেন ২১৫ জনের মতো। এ হলে আগে আবাসিকতা ছিল ৩৬ জনের। হল খোলার পর নতুন করে আজ আবাসিকতা নিয়েছেন ২৩ জন। এসব হলে এখনও শিক্ষার্থীদের আবসিকতা নিয়ে হলে ওঠা চলমান রয়েছে। 

এ ছাড়া নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলে ১৯৭ ও শেখ হাসিনা হলে ২৫৬ জনের আবাসন ব্যবস্থার বিপরীতে ৩০০ এর মতো করে থাকছেন প্রতিটি হলে। পুরুষ শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে আগে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনাবাসিক হয়ে থাকলেও নারী শিক্ষার্থীদের উভয় হলে আগে থেকেই সকলে আবাসিকতা নিয়ে থাকতেন। 

এর আগে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ২ অক্টোবর হল সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। রোববার ৯ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হলে কোনো অনাবাসিক শিক্ষার্থী না তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে হলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, হলে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীকে তোলার মাধ্যমে হলের মধ্যে প্রশাসনের কর্তৃত্ব ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। যেটা আগে থেকেই থাকা উচিৎ ছিল। এটি ভবিষ্যতে অঘটন কমিয়ে দিবে বলে আশা করছি।