হল ছাড়ার সময় বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের উপর প্রতিপক্ষের হামলা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইলিয়াস সমর্থিত নেতা-কর্মীরা হল ছেড়ে যাওয়ার সময় পৃথক দুটি ঘটনায় রোববার রাত ৯টার দিকে কোটবাড়ির বিভিন্ন স্থানে মারধরের শিকার হন। রবিবার (০২ অক্টোবর) প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হলের শিক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি কলেজের সামনে অটোরিকশায় থাকা একজনের সঙ্গে মোটরবাকে থাকা দুইজনের ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ওই দুইজনসহ আরও চার/পাঁচজন মিলে অটোরিকশায় থাকা শিক্ষার্থীকে এক গলির ভেতর টেনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা তাকে ফেলে চলে যায়।
মারধরের শিকার ওই নেতার নাম ইমরান হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ইমরান বলেন, সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ফেরার পথে কোটবাড়ি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফয়সাল স্থানীদের নিয়ে আমাকে মারধর করে। এসময় বিপ্লব চন্দ্র দাস আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমার ফেসবুক ওয়ালে একটা স্ট্যাটাস দেয়। আশা করি বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
বিপ্লব চন্দ্র দাস ২০১৬ সালের পহেলা আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিহত খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ও ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর অনুসারী।
এদিকে দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবির আহমেদ রায়হানকেও বাড়ি যাওয়ার পথে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিপ্লব চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
রায়হান জানান, আমি বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে কোটবাড়ি মোড়ে আমাকে বিপ্লব নামে একজন আমাকে তার বাইকে উঠতে বলে কিন্তু আমি বাইকে উঠতে না চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়। পরে আমার আমার কাছ থেকে ফোন নিয়ে আমার ফেসবুক আইডি থেকে একটা স্ট্যাটাস দেয়। পরে আমাকে তাদের গ্রুপের গ্রুপের সাথে কাজ করতে বলে। পরে ফোন ফেরত দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি আমাকে নিয়ে আসে।
উভয় ঘটনায় বিপ্লব চন্দ্র দাস জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও মুঠোফোনে তাঁর সাথে একাধিকবার কথা বলতে চেয়েও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, এখানে দু’টি ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় আবিরের ঘটনা জানতে পেরে আমরা কোটবাড়িতে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি। সে জানিয়েছে তাকে মারধর করেনি, তবে তার থেকে মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। পরে ইমরানকে মারধরের ঘটনা শুনে তাকে দেখতে আসি। এখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেননি মন্তব্য করে প্রক্টর বলেন, আমি ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র ইকবালের (রেজা এলাহীর অনুসারী) কাছে ঘটনাটি (রায়হানকে মারধরের) জানতে পেরে সেখানে গিয়েছি। তবে আমি কাউকে চিনতে পারিনি।
এ ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিবে কি না জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে বহিরাগত থাকলে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।