২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৭

ঢাবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হীরকজয়ন্তী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হীরকজয়ন্তী উদযাপিত করা হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিভাগের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে দুই অধিবেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, 'ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং আন্তঃনির্ভরশীলতা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। 

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাংবাদিকতা শিক্ষাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সমাজ ও জাতির চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য তিনি গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর হামলাকারী সবাই ছাত্রলীগের

বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, 'এখন সাংবাদিক হওয়ার বদলে সবাই কর্মচারী হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিককে মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।' বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক শবনম আযীম ও অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস। 

আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'দেশের গণমাধ্যম আত্মহত্যার দিকে যাচ্ছে।' তিনি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সিলেবাস পরিবর্তনের আহ্বান জানান। 

এ  সময় সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেছেন, 'মিডিয়ার ওপর জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে গেছে। জনগণ যে কন্টেন্ট জানতে চাচ্ছে, সেগুলো পাচ্ছে না।'

বার্তা সংস্থা এপির ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিকতায় সমাজ, রাজনীতি, সমসাময়িক ঘটনাবলি বিষয়ে সচেতন থাকা, সর্বোপরি ভালো লিখতে জানা জরুরি।

এরপর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক লাবণ্য আহমেদ বলেন, 'কোনো একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয়, বরং সাংবাদিকতায় সব বিষয়েই ধারণা থাকতে হবে।'

সেসময় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এসএম শামীম রেজা। তিনি বলেন, 'ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার বিষয়েও আমাদের জানাতে হবে। একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির পারস্পরিক সম্পর্ক দৃঢ় হলে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়া যাবে।'

আরও পড়ুনঃ এনটিসিবির বইয়ের ঠাঁই হচ্ছে ঝোপঝাড়ে

ডেইলি স্টারের রিপোর্টার জাইমা ইসলাম ইন্টার্নশিপকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার কথা বলেন এবং বর্তমানে যে বিষয়গুলো সাংবাদিকতায় অপ্রয়োজনীয় সেগুলো বাদ দিয়ে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নে গুরুত্ব দেন। বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বিভাগে মাল্টিমিডিয়া ল্যাব প্রতিষ্ঠা এবং অ্যালামনাইদের সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর দেন। সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ সব পরামর্শ এবং প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করা হবে বলে জানান।

গোলটেবিল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ, সাবেক শিক্ষক ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, চলচ্চিত্রশিল্পী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাংবাদিক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়, সাংবাদিক ও অভিনেত্রী এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ত্রপা মজুমদার, আবৃত্তি শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, সময় টিভির অনলাইন ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।