ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্চিত ঘোষণা
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের একাংশ৷ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ ৷
তিনি বলেন, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস এর উপর নির্যাতনের ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। একইসাথে ছাত্রলীগের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি-সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটিই প্রশ্নবিদ্ধ। রোকেয়া হলের এজিএসকে মারধরের ঘটনায় পিবিআই এর তদন্তে দোষী বেনজীর হোসেন নিশিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি নিজেই মামলার আসামি। মামলার আসামী কিভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকতে পারে৷ এই তদন্ত কমিটি উল্টো আমাদেরকে দোষারোপ করে রিপোর্ট প্রদান করবেন।
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ এনে ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি জন্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারি আমাদের ফোন ধরেন না। তারা শুধুমাত্র সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করেন। এমনকি আমরা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করতে বাসায় গেলে আমাদের বাসায়ও উঠতে দেয় না৷ আমরা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে আবাঞ্চিত ঘোষণা করছি৷ সেই সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটিকে আমরা মানি না৷ আগে রিভা ও রাজিয়াকে বহিষ্কার করে তারপর তদন্ত করতে হবে৷
এসময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রলীগ নেত্রী উপস্থিত ছিলেন৷
উল্লেখ্য, ইডেন কলেজে হওয়া বিশৃঙ্খলা তদন্ত করে দেখতে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দুই সদস্য হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি। রবিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সঙ্গে সহ-সভাপতিসহ আরেকটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়।