১১ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে ইডেন ছাত্রলীগের একাংশ
ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিচার দাবিসহ মোট ১১ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে কলেজের শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ বলেন, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস এর উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আমরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হলো -
১. ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের উপস্থিতিতে সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীর উপর অতর্কিত হামলার বিচার চাই কলেজ প্রশাসনকে করতে হবে৷
২. সাধারণ মেয়েদের সাথে পূর্বে ও বর্তমানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।
৩. সাধারন শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
৪. গণহারে প্রায় শতাধিক রুম দখলের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন
৫. ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্যকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলার জবাব দিতে হবে৷
৬. ছাত্রীহলের ক্যান্টিতে একচেটিয়া চাঁদাবাজি ও একচেটিয়া রাজনীতি বন্ধ করতে হবে৷ এ বিষয়ে কলেজ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে৷
৭. ক্যাম্পাসের কোন সিসিটিভি ফুটেজ লুকানো যাবে না৷ সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ তদন্ত কমিটিকে দিতে হবে৷
৮. অবৈধভাবে যে ওয়াইফাই সংযোগ কলেজে প্রবেশ করানো হয়েছে তা অবশ্যই প্রশাসনের মাধ্যমে বের করে দিতে হবে৷ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন তা সম্পূর্ন ফেরত
দিতে হবে৷ সেখানে ইডেন কলেজের বাকী ৪২ জন নেত্রীর এবং কলেজ প্রশাসনও উপস্থিত থাকবে৷
৯.জান্নাতুল ফেরদৌসীর যে আপত্তিকর ছবি তোলা হয়েছে তা প্রশাসনের সামনে মুছতে হবে৷
১০. বঙ্গমাতা হলের ১১ তলায় যে রুম দখল আছে তা উদ্ধার করতে হবে৷
১১. সহ-সভাপতি মিম ইসলাম যে কিনা সভাপতির অনুসারী এবং সহ সভাপতি রোকসানার মেয়েদের সাথে অত্যাচার করেছে তার বিচার করতে হবে৷
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। জানা গেছে, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই কোন্দলে জড়িয়ে পরে উভয় পক্ষ।