শিবির সন্দেহে বহিষ্কৃত ১০ জবি শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষায় বাধা নেই
শিবির সন্দেহে অভিযান চালিয়ে মেস থেকে গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১০ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এখন থেকে তাদের ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ৯০তম সিন্ডিকেটে তাদের ওপর থেকে সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা স্বাভাবিকভাবে আগের মত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এ বহিষ্কার প্রত্যাহার আদেশ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘তারা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জগন্নাথের শিক্ষার্থী ছিল ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতির জন্য আবেদন করে। একজন যেহেতু আবেদন করেনি, তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারা জামিনে আসছে আর তারা সবাই আমাদের শিক্ষার্থী সেই বিবেচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আদালত থেকে তারা এখনো দোষী প্রমাণিত হয়নি তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি এক মাসে শেষ করার পরিকল্পনা
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. শাহিন ইসলাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।
এদিকে বাকি এক শিক্ষার্থী সঙ্গীত বিভাগের আল-মামুন রিপন তার প্রত্যাহার আদেশের আবেদন করতে বিলম্ব হওয়ায় এ দশজনের সঙ্গে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা যায়নি বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, শিবির সন্দেহে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।