প্রশাসনিক জটিলতা বন্ধে হাসনাতের পাশে দাঁড়ালেন মহিউদ্দিন রনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা বন্ধে ৮ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন মহিউদ্দিন রনি। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এর আগে রেলওয়ে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আলোচনায় আসেন ঢাবির এই শিক্ষার্থী।
এর আগে ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন গেইটে অবস্থান কর্মসূচি করেন হাসনাত, তখন তার সাথে বেশ কিছু শিক্ষার্থী যুক্ত হন। সেই সময় উপাচার্য বরাবর ৮ দফা দাবি জানিয়ে স্মারক লিপি জমা দেন।
দাবি না মানায় পুনরায় রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাবির প্রশাসনিক ভবন গেটে ৮ দফা দাবির প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, 'রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের অবস্থা যা ছিলো, ঠিক তা-ই রয়েছে। রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মচারীদের কাজে সময়মতো উপস্থিত না হওয়া, লাঞ্চের আগেই অফিস থেকে বেড়িয়ে যাওয়া, অযথাই ছাত্র হয়রানি করা, অহেতুক দায়িত্ব অবহেলা, রুম নম্বর বিড়ম্বনা, সনাতন পদ্ধতিতে ছাত্র হয়রানি এখনো নিয়মিত ঘটনা। পর্যাপ্ত সময়, গঠনমূলক পরামর্শ, সময়োপযোগী দিকনির্দেশনা দেওয়ার পরও আট দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের অসহযোগিতামূলক আচরণে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি ক্ষুব্ধ। এজন্য এবার আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমার অবস্থান কর্মসূচি চলবে।'
আরও পড়ুনঃ প্রশাসনিক জটিলতা বন্ধে ফের অবস্থান শুরু ঢাবি শিক্ষার্থীর
আজ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের হয়রানি নিরসনের লক্ষ্যে ৮ দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। সম্মানিত শিক্ষকরাও যেখানে গেলে হয়রানির শিকার হন, সেখানে ছাত্র, কর্মচারী সবার সমন্বয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এবং পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রশাসনিক ভবন আধুনিকায়ন সম্ভব।'
রনি আরও বলেন, 'গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সকল সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। দলমত নির্বিশেষে হাসনাত ভাইকে সহযোগিতা করুন। এ দাবি আমাদের সবার।'