বিসিএস পরীক্ষার খাতা নির্দিষ্ট সময়ে না দেখলে বাদ পরীক্ষক
বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় প্রার্থীদের। ফলে একটি বিসিএস শেষ হতেই লেগে যায় কয়েক বছর। এই পরীক্ষার খাতা যাতে কম সময়ে দেখা শেষে ফলাফল দেওয়া যায়, এ জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিষয়ভিত্তিক ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় ভর্তিচ্ছুদের।
পিএসসির একজন সদস্য এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৪০তম বিসিএসের ফল দেখতে এক বছর সময় লেগেছে। এ কারণে শেষ করতেও সময় লেগেছে বেশি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন চাকরিপ্রার্থীরা, বয়স চলে যায়। এ কারণে খাতা দেখার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি করা গেলে বিসিএসের সময় কমে আসবে। কম সময়ে চূড়ান্ত ফল দেওয়া যাবে। এ জন্য পরীক্ষককে আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হতে হবে।
সূত্র জানিয়েছে, আবশ্যিক ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কারিগরি বা পেশাগত বিষয়ও থাকে। এসব পরীক্ষা দিতেও অনেক সময় লাগে, ফলাফল দিতেও সময় লাগে। বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল দিতে বেশি সময় লাগে এ কাজে। তৃতীয় পরীক্ষকের কাছেও খাতা পাঠানোর নিয়ম আছে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। এক বছর ধরে এ প্রক্রিয়া চলেছে। এখন ৪১তম বিসিএসের খাতা দেখার কাজ চলছে। খাতা দেখতে কিছু কিছু পরীক্ষক বেশি সময় নিচ্ছেন। এমন পর্যবেক্ষণ করেছে পিএসসির কমিটি।
আরো পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই: ডিপিই
৪১তম বিসিএসের খাতা দেকতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষক অনেক বেশি সময় নিলে আবার আলোচিত হয়েছে বিষয়টি। এ জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশি কঠোরভাবে মানার কথা জানিয়েছে কমিটি। ওই পরীক্ষক ৬ মাসে ১০০টির মধ্যে মাত্র ৩০টি খাতা দেখেছেন।
কমিটির একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষকদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার নিয়ম চালু করেছে পিএসসি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাতা দেখতে না পারলে পরীক্ষককে আর খাতা দেখতে দেওয়া হবে না। খাতা দেখার টাকাও বাড়ানো হয়েছে। সময়ের মধ্যে দেখতে না পারলে পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা নিয়ে নেওয়া হবে। তাঁকে খাতা দেখার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।