কাল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সভা
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন আয়োজন করতে জরুরী সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে৷ সমিতির সর্বশেষ নির্বাচিত বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার সই এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷ আগামীকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম.নজিব উদ্দিন খান খুররম মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে৷
এছাড়াও ওমিক্রণ সংক্রমণ বিবেচনা এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটিয়ে একতরফা এবং অবৈধভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে জরুরী সাধারণ সভা আহবান করা হয়েছে বলেও জানানো হয়৷
সংশ্লিষ্টরা জানান, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর মেয়াদে সমিতির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের জুন মাসে৷ সেই হিসেবে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে৷ দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্বশূন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডুবে আছে নানা ধরনের সমস্যায়।
গঠনতন্ত্রের ধারা-৮ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কমিটির মেয়াদ দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হতে দুই বৎসর। বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ২ (দুই) মাস করে দুই দফা সর্বোচ্চ ৪ (চার) মাস নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি নিতে পারবে৷ সর্বোচ্চ ৪ (চার) মাস উত্তীর্ণ হলে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত হবে৷ পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সভাপতি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহবান করবেন এবং সে সভায় সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করবেন৷ আহবায়ক কমিটি সর্বোচ্চ ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে৷ তবে আহবায়ক কমিটি গঠনের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে৷ বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারণ সভা আহ্বান করা না গেলে জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷’
সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষকরা ঢাকা কলেজে আসবেন৷ এ উপলক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা কলেজ প্রশাসন৷
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচিত কমিটির সর্বশেষ সেমিনার সচিব ও ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড.মো.আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, সভাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে ৷ দায়িত্ব বন্টনের অংশ হিসেবে আপ্যায়ন উপ কমিটি, শৃঙ্খলা উপ কমিটি সহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের মধ্যমে সমিতির তার যোগ্য নেতৃত্ব ফিরে পাবে৷
এবিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সংখ্যায় বৃহত্তর হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির না থাকায় কর্মকর্তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা প্রত্যাশা করি এই সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের যোগ্য নেতৃত্বের বের হয়ে আসবে। দীর্ঘ সময় ধরে এমন অচলাবস্থা চলতে পারে না।
আগামীকালের জরুরী সাধারণ সভায় বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির প্রাক্তন মহাসচিব অধ্যাপক মোঃ মাসুমে রব্বানী খান, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন ও সদস্য সচিব সৈয়দ জাফর আলী সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।