নভেম্বরেই ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা
আগামী নভেম্বর মাসেই ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে এর আগে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
পিএসসি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস শেষ করতে চায়। এই মুহূর্তে ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের ফল প্রকাশের কাজ চলছে। ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশের পরপরই ৪১ ও ৪৩তম বিসিএস নিয়ে কাজ শুরু করবে পিএসসি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্মদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এখন পর্যন্ত নভেম্বর মাসকে টার্গেট করেই আমরা এগোচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
এর আগে গত ১ আগস্ট পিএসসি’র বিশেষ সভায় আগামী নভেম্বর মাসে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নূর আহ্মদ জানিয়েছিলেন, ‘আজকের কমিশনের সভায় ৪১তম বিসিএসে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণদের আগামী নভেম্বর মাসে লিখিত পরীক্ষা হবে। এ জন্য কমিশন সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয় পিএসসি। করোনার কারণে পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার চার মাস পর গত ১ আগস্ট ৪১তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন ২১ হাজার ৫৬ জন।
৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশে ১০০ জন, সহকারী সার্জনে ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জন নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।