বিসিএস’র কেন্দ্রে কী নেওয়া যাবে, এসএমএসে জানাবে পিএসসি
৪১ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৯ মার্চ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষায় অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় হাতঘড়ি, অলঙ্কার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে যাওয়া যাবে না। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ নির্দেশনা দিয়েছে।
পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রী না আনতে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কী আনা যাবে তা পরীক্ষার্থীদের একদিন আগে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পিএসসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তিনি ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য হবেন।
এতে বলা হয়েছে, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বই-পুস্তক, সব রক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইস, গহনা, ব্যাগসহ হলে প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য পরীক্ষার্থীদের কিছু বিষয় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১. পরীক্ষার কেন্দ্রে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রীসহ পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
২. হলের গেটে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। সে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৪. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীর কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, খোলা রাখতে হবে। কানে হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা ২০১৪-এর বিধিভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে পিএসসিসংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।
তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এই বিসিএসে রেকর্ড ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪১তম বিসিএসে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে।
শিক্ষার পরে বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যতে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে। পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জনকে নেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন।
সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) হিসেবে ১৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।