নির্ধারিত সময়েই ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা নিতে চায় পিএসসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:০০ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩৬ PM
নির্ধারিত সময়েই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে চায় সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। যদিও এই বিসিএসের আবেদনকারীদের একাংশ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। পিএসসি আগামী ১৯ মার্চে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিএসসির এক কর্মকর্তা জানান, কমিশনের নির্ধারিত তারিখ অনুয়ায়ী আগামী ১৯ মার্চে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেও অধিকাংশই পিএসসি নির্ধারিত সময়ে এই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: হল খুলে ও ভ্যাকসিন দিয়ে ৪১তম বিসিএসের প্রিলি নেয়ার দাবি
জানা গেছে, আবেদনকারীদের একাংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। শনিবারও (২৭ ফেব্রুয়ারি) তারা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তাছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
৪১তম বিসিএস পেছানোর দাবিতে আন্দোলনকারীরা বলছেন, করোনার কারণে সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন না দিয়ে ক্যাম্পাসও খোলা হবে না। তাহলে এত বড় একটি পরীক্ষা কেন এত তাড়াতাড়ি নেয়া হবে?
তারা আরও বলছেন, ৪১তম বিসিএসে চার লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছেন। অভিভাবক মিলিয়ে এই পরীক্ষায় প্রায় ৮/৯ লাখ মানুষের সমাগম হবে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের চলাচলের কারণে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হবেন। তাই ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান না তারা। এজন্য অবিলম্বে পরীক্ষা পেছানোর দাবি তাদের।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি ৪১তম বিসিএসের তারিখ ঘোষণা করে পিএসসি। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৯ মার্চ এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দুই হাজার ১৬৬ শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জন, সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।