৪০তম বিসিএস

এক বিসিএসেই গেল ২ বছর ৪ মাস, অপেক্ষা আরও

সরকারী কর্ম কমিশন
সরকারী কর্ম কমিশন  © ফাইল ফটো

অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না ৪০তম বিসিএস লিখিত ফল প্রত্যাশী ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ফল প্রকাশের কথা জানিয়েছিল সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তারা। তবে বিপুল সংখ্যক খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে চায় পিএসসি।

জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়ে ২০ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের দ্বারা পুনর্মূল্যায়ন করার কাজ জোরেশোরে চলছে। তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ হলেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে পিএসসি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিএসসির এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বর্তমানে পিএসসি কেবলমাত্র ৪০তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা নিয়েই কাজ করছে। চেয়ারম্যান স্যার ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন চলতি জানুয়ারিতে ফল প্রকাশ করার। স্যারের ঘোষণাকে বাস্তবে রূপ দিতে সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

৮ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। এজন্য অনেক সময় প্রয়োজন। এ অবস্থায় আসলেই কি জানুয়ারির মধ্যে ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল দেয়া সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমরা পরীক্ষকের সংখ্যা বাড়িয়ে হলেও চলতি মাসের মধ্যেই খাতা দেখার কাজ শেষ করবো। আশা করছি খুব শিগগিরই ফলপ্রত্যাশীদের অপেক্ষা শেষ হবে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

৪০তম বিসিএসে ২ বছর ৪ মাস

২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৪০ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় আড়াই বছর হতে চললেও এখনো এই বিসিএসের লিখিতের ফল প্রকাশ করতে পারেনি পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা এবং চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে কত সময় লাগবে সেটি কেউ বলতে পারছে না। ফলে ৪০তমদের অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

তথ্যমতে, ৪০তম বিসিএসে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ প্রার্থী। গত বছরের ৩ মে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। গত ৪ জানুয়ারি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।

৪০তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিএসসি।