ডিসেম্বরে হচ্ছে না ৪০তম বিসিএসের লিখিতের ফল

সরকারি কর্ম কমিশনের
সরকারি কর্ম কমিশনের   © ফাইল ফটো

৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল এ বছর আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ পরীক্ষার বেশকিছু খাতা শেষ পর্যায়ে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়ায় ফল প্রকাশে আরও দেরি হবে। যদিও ডিসেম্বরের মধ্যেই ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক সূত্র এর আগে জানিয়েছিল।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ সম্ভব হবে না। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবসময় সম্ভব হয় না। এ নিয়ে শনিবারেও কাজ করেছি। কিন্তু বেশ কিছু খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়ার জন্য কোয়ালিফাইড হওয়ায় ফল প্রকাশ দেরি হবে।’

এসময় বিসিএসে তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন হবে না, এমন একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন হয়েছে। কমিশনের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আছে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার। কারণ এটি শেষ করতে পারলে আমাদের একটা বোঝা নেমে যায়।’ খাতা দেখার এ প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে অনেক খাতায় দুই পরীক্ষকের দেওয়া নম্বর ২০ শতাংশের বেশি ব্যবধান হওয়ায় তা তৃতীয় পরীক্ষকের নিকট দেওয়া হয়েছে। সে কারণে পিএসসি চেষ্টা করেও ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি। এ প্রক্রিয়ায় যেতে না হলে আজ ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই বৈঠক করে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা ছিল বলেও সূত্র জানায়।

জানা গেছে, একজন পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়নের পর তার মূল্যায়ন সঠিক হয়েছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য খাতা দ্বিতীয় ধাপে একজন নিরীক্ষক পুনরায় মূল্যায়ন করেন। পুনমূর্ল্যায়নের সময় নিরীক্ষক দেখেন, যেখানে যেমন নাম্বার দেয়ার কথা ছিল তা দেয়া হয়েছে কিনা। আবার নম্বর যোগ করতে কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে নম্বর ২০ নম্বরের বেশি ব্যবধান হলে খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের নিকট পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন চার লাখ ১২ হাজার ৫৩২ প্রার্থী। গত বছরের ৩ মে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন তিন লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। গত ৪ জানুয়ারি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।

৪০তম বিসিএসে মোট এক হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিএসসি।


সর্বশেষ সংবাদ