ভাস্কর্য জাতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে: পিএসসি চেয়ারম্যান
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ভাস্কর্য সংস্কৃতিকে ধারণ করার মাধ্যমে একটি জাতির ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে আজ যারা অবস্থান নিয়েছে তারা ১৯৭৫-এর চক্রান্তকারী মহলের সেই মানসিকতাই ধারণ করে।
আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) কমিশন সচিবালয়ের ৭১ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন' শীর্ষক আলোচনা সভায় অনলাইনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পিএসসির চেয়ারম্যান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন স্বাধীন মানুষ হিসাবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচবো। সব স্তরে বাঙালির ওপরে পাকিস্তানিদের বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন বলেই আমরা আজ উন্নয়নের এ অবস্থানে পৌঁছেছি। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
পিএসসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ত্বরান্বিত করতে হবে। তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। এখন ঘরে বসে অটোমেশনের মাধ্যমে নানা স্তরে অতি দ্রুততার সাথে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তাঁকে প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
নির্ধারিত সময়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং স্বল্পতম সময়ে সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী শুন্য পদ পূরণের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন ও সুপারিশ করার মাধ্যমে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সদস্যরা অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে দেশ এগিয়ে চলছে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতির পিতার নির্মীয়মান ভাষ্কর্য অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং সবাইকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে কমিশনের পক্ষ হতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদস্য এবং কর্মকর্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত শহীদ সরকারি কর্মচারীদের স্মরণে কমিশন চত্বরে অবস্থিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।