৪০তম বিসিএস পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন হয়নি
৪০তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের প্রয়োজন হয়নি বলে সরকারী কর্ম কমিশন (পিসেসি) সূত্রে জানা গেছে। একজন পরীক্ষক এবং একজন নিরীক্ষকের দ্বারাই খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করবে পিএসসি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, একজন পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করার পর তার মূল্যায়ন সঠিক হয়েছে কিনা সেটি যাচাইয়ের জন্য ওই খাতা দ্বিতীয় ধাপে একজন নিরীক্ষক পুনমূল্যায়ন করেন। পুনমূল্যায়নের সময় নিরীক্ষক দেখেন, যেখানে যেমন নম্বর দেয়ার কথা ছিল তা দেয়া হয়েছে কিনা। আবার নম্বর যোগ করতে কোথাও ভুল হয়েছে কিনা। দুই জনের দেয়া নম্বরের মধ্যে যদি ২০ শতাংশ পার্থক্য থাকে তখন সেই খাতা তৃতীয় পরীক্ষক দেখেন। তবে ৪০তম বিসিএসে পরীক্ষক এবং নিরীক্ষকের দেয়া নম্বররের মধ্যে ২০ শতাংশ নম্বরের পার্থক্য না থাকায় এবার তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা দেখানোর প্রয়োজন হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র ক্যাডার শাখার এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪০তম বিসিএসে তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়নের প্রয়োজন হয়নি। ফলাফল প্রকাশের কাজ একদম চূড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৪০ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ প্রার্থী। গত বছরের ৩ মে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। গত ৪ জানুয়ারি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়।
৪০তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে, প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে পিএসসি।