৪ বছরে বিসিএস ক্যাডার হলো ১৪ হাজার ৮১৩ জন
বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকরিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিসিএস । বিগত পাঁচ বছরের আবেদন সংখ্যা সেদিকেই ইঙ্গিত করে। ধারাবাহিক স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় বিসিএসই যেন এখন তরুণদের একমাত্র লক্ষ্য।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২ মে থেকে ৩৯তম বিসিএস পর্যন্ত গত ৪ বছরে ১৪ হাজার ৮১৩ জন বিসিএস ক্যাডার সুপারিশ করা হয়েছে। এসময়ে আরও ৫ হাজার ৪৬ জনকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছে। সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকের দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে এই সুপারিশ করা হয়।
তথ্য মতে, ৩৫তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয় ২ হাজার ১৮১ জন। ৩৬তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হন ২ হাজার ৩২৩ জন। ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৩১৩ জনকে। ৩৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হন ২ হাজার ২০৪ জন এবং ৩৯তম বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয় ৬ হাজার ৭৯২ জনকে।
২০১৮ সালের শেষের দিকে পিএসসি থেকে জানানো হয়েছিল, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পিএসসি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছিল ২০ হাজার ২২৫ জন। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পিএসসি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছে মোট ৬০ হাজার ১১৮ জন। পিএসসির ২০০৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পিএসসি’র ২০০৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ সময়ে পিএসসি ২৬ হাজার ৬৪৫ জনকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করে। এ সময়ের মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৭৬ জনকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করে পিএসসি। বিসিএস ছাড়াও পিএসসি কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদেও সুপারিশ করা হয়। ২০০৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত পিএসসি ৩ হাজার ১৮ জনকে প্রথম শ্রেণি এবং ২২ হাজার ৬৫৩ জনকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সুপারিশ করা হয়। তাছাড়া, নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন নার্সিংও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ‘সিনিয়র স্টাফ নার্স’ পদে ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজারকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
২০১৮ সালের পর এ পর্যন্ত ৩৮তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ২০৪ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে পিএসসি। তাছাড়া ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এছাড়াও এ সময়ে ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডারে নিয়োগের কয়েকশ সুপারিশ করেছে পিএসসি।