চা-বিস্কুট খেতে খেতে বিসিএস ভাইভা দিচ্ছেন প্রার্থীরা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ব্যস্ত সময় পার করছে। গত ২৯ জুলাইতে থেকে শুরু হয়েছে ৩৮তম বিসিএস ভাইভা। এখন চলছে দ্বিতীয় পর্ব। বিভিন্ন বোর্ডে বিভক্ত হয়ে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের ভাইভা। বিসিএস ভাইভাকে মাইন্ড গেইম বলে উল্লেখ করেছেন সদ্য ভাইভা দিয়ে আসা আবদুর রহিম।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবার আমার ভাইভা অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। যতগুলো বোর্ড আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক বোর্ডে ভাইভা দিয়েছি। বিপদজনক বলছি কারণ- ভাইভার শুরুতে স্টপ ওয়াচ চালু করে রাখা হয়েছিল। ঠিক সাত মিনিটের জন্য স্টপ ওয়াচ দেয়া হয়েছিল। এই সাত মিনিট আমাকে শুধু প্রশ্নই করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যবার ভাইভা দিতে এসে প্রথমে জিজ্ঞেস করতো আপনার বাসা কোথায়, কোথায় পড়া-লেখা করেছেন? কিন্তু এবছর শুরু থেকেই শুধু কঠিন সব প্রশ্ন। আমি ভাইভা বোর্ডে বসা স্যারদের মাইন্ড গেম বুঝে উঠতে পারিনি। এমন ভাইভার জন্য আমি অপ্রস্তুত ছিলাম।’
আরেক পরীক্ষার্থী সাদিক মাহমুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমার ভাইভা আশানুরূপ ভাল হয়েছে। আমাকে তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করেনি। কেমন আছি, কোথায় পড়েছি, কোথায় কোথায় ঘুরেছি, এই গুলোই বেশি জানতে চেয়েছে। এছাড়া একনেকের পূর্ণাঙ্গ রূপ জানতে চেয়েছে।’
এদিকে মৌখিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ভীতি কাটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এজন্য প্রথমবারের মতো ৩৮তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পানির পাশাপাশি এক কাপ চা ও একটি বিস্কুটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষার টেবিলে জড়তা দূর করতে কমিশনের পক্ষ থেকে সামান্য পরিসরে প্রতি পরীক্ষার্থীর জন্য পানি, এক কাপ চা ও বিস্কুটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি পরীক্ষার্থীদের দেওয়া ফির অংশ থেকে করা হয়েছে। আমি মনে করি, এতে এক জন পরীক্ষার্থী কিছুটা হলেও সাবলীলভাবে প্রশ্নের জবাব দিতে উপকৃত হচ্ছেন।’
গত ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভা শুরু হয়। ঈদের আগে গত ১ আগস্ট পর্যন্ত ভাইভা চলে। গত মঙ্গলবার থেকে পুনরায় ভাইভা শুরু হয়েছে। সাধারণ ক্যাডারের এই ভাইভা চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর সাধারণ ও প্রফেশনাল ক্যাডারে এবং সর্বশেষ কারিগরি ক্যাডারের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৩৮তম বিসিএসের প্রথম পর্বের ভাইভা পরীক্ষা শুরু হয় ২৯ জুলাই থেকে। আর দ্বিতীয় পর্বের ভাইভা শুরু হয় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে।
গত ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)। এতে পাস করেছেন ৯ হাজার ৮৬২ জন। ১৪ হাজার ৫৪৬ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে দুই হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করার কথা ছিল। তবে এখন এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এতে এই বিসিএসে মোট পদের সংখ্যা হচ্ছে দুই হাজার ১৬০।