৪৪তম বিসিএসের গেজেট দ্রুত প্রকাশসহ তিন দাবি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের
দ্রুত গেজেট প্রকাশ, নিয়োগসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ক্যাডার প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। গত ৩০ জুন সাময়িকভাবে ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
তিন দাবি হলো- পুনরায় ফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং অনতিবিলম্বে কার্যকর করা, অন্যথায় বিদ্যমান ফল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা; গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগে নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে লিখিত নির্দেশনা প্রদান; আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গেজেট ও নিয়োগ সম্পন্ন করা এবং ৪৪তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগ শেষ হওয়ার পরই ৪৫তম বিসিএসে প্রার্থী সুপারিশ কার্যক্রম চালু করা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুপারিশে থাকা ১ হাজার ৬৯০ প্রার্থীর মধ্যে ৩৭২ জন একই বা সমতুল্য ক্যাডারে (রিপিট ক্যাডার) নিয়োগপ্রাপ্ত। পিএসসি প্রচলিত বিধিমালার আলোকে মেধাক্রম ও পছন্দ অনুযায়ী ক্যাডার বরাদ্দ দিয়ে ফল প্রকাশ করেছে। ‘রিপিট ক্যাডার’ বিষয়ক অসন্তোষ এবং গণমাধ্যমে আলোচনা ও বিক্ষোভের পর মানবিক বিবেচনায় কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, বিধি সংশোধন করে তাদের পরিবর্তে মেধাক্রম অনুসারে নতুন প্রার্থীদের সুপারিশ করে ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি বৃত্তির ফল প্রকাশ, দেখুন এখানে
প্রার্থী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনী রোডম্যাপের মধ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে। বিধি সংশোধন, ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো কার্যক্রম থমকে আছে। এতে গেজেট ও নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তারা।
৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ প্রার্থী। এতে ১৫ হাজার ৭০৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী।