০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৫

বিসিএস পরীক্ষার নম্বর দেখা ও খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ পেতে পারেন প্রার্থীরা

সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

বিসিএস পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিসিএসের তিনটি ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীরা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখতে পারবেন। এছাড়া প্রার্থীরা পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগও পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে প্রার্থীদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। সকল পরীক্ষাতেই প্রার্থী কত নম্বর পেয়েছে সেটি জানার সুযোগ থাকলেও বিসিএসের ক্ষেত্রে এই সুযোগ নেই। চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দেখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রার্থীদের নম্বর দেখানোর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশনে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে পরীক্ষায় ভালো করেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে অভিযোগ জানান। ফলে অনেকেই তখন পিএসসিকে দোষারোপ করেন। এটি বন্ধে প্রার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি কমিশনের সভায় চূড়ান্ত হবে।’

একজন পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়নের পরিকল্পনা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ক্যাডার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার খাতা একজন পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে চায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনাও করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘বর্তমানে তিনজন পরীক্ষক বিসিএসের ক্যাডার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন। প্রথম পরীক্ষকের মূল্যায়ন শেষে একই খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। এরপর নম্বরের ব্যবধান থাকলে খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়। এতে করে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। বিসিএসের জট না খোলার অন্যতম কারণ এটি। এজন্য একজন পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়নের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।’

একজন পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করলে অনেকে বঞ্চিত হতে পারেন, কেউ কেউ বেশি নম্বরও পেতে পারেন। এ থেকে কীভাবে বের হবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও অনুধাবন করেছি। সেজন্য পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন শেষে যখন পিএসসিতে জমা দেবেন, তখন আমরা সেগুলো যাচাই করে দেখবো। পরীক্ষক নম্বর ঠিকভাবে দিয়েছেন কি না সেটি নিশ্চিত হওয়ার পরই নম্বর চূড়ান্ত করা হবে।’

নন-ক্যাডারের পরীক্ষার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা নন-ক্যাডারের যে পরীক্ষাগুলো লিখিতভাবে নেওয়া হয়, সেগুলোতে এটি প্রয়োগ করবো। অর্থাৎ আগে নন-ক্যাডারের খাতা একজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। নন-ক্যাডারের ক্ষেত্রে সফলতা আসলে পরবর্তীতে ক্যাডার পদের পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা হবে।’