যে কারণে ৪০তম বিসিএসের এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএসে (পুলিশ) ক্যাডারে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনটি ক্যাটাগরি অনুসরণ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জ এবং ক্যাডার। বিশেষ এই কোটায় নিয়োগ পাওয়া এসব এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ৪০তম বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন অনেকে। মেধাবী হওয়ার পরও কেবলমাত্র ভিন্ন মতাদর্শের কারণে অনেকে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েও নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে বাদ পড়েছিলেন। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কোটায় তুলনামূলক কম মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সব মহলেই আলোচনা হয়েছে। হয়তো এ কারণেই কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে।
পুলিশের ৬২ এএসপিদের নিয়োগ বাতিল করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। সরকার চাইলে ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হতে পারে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আগে অভিযুক্ত ৬২ জনের পরীক্ষার ফলাফল থেকে শুরু করে এসবি, এনএসআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে নিরীহ কেউ আছে কি-না, তা তদন্ত করে দেখার পর পুনরায় প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের দিন-তারিখ চূড়ান্ত করা হতে পারে। এক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়াদের বাদ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।