৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাচ্ছে
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতাও তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) একটি সূত্র জানিয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার দ্বিতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়ন শেষ হওয়া খাতাগুলো পিএসসিতে জমা হয়েছে। এগুলো স্ক্রিনিং করে দেখা গেছে, বেশ কিছু খাতায় দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি। নিয়ম অনুযায়ী এ খাতাগুলো এখন তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪৫তম বিসিএসের খাতাও তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাবে। তবে কতগুলো খাতা পাঠানো হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি জানা যেতে পারে।’
২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা ২৩ জানুয়ারি শুরু হয়, শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা এ বছরের ২৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে, চলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।