দুই বিসিএসে পদ বাড়ছে ৩ হাজার
দুটি বিসিএস থেকে আরও প্রায় তিন হাজার প্রার্থী নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদা থাকায় ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে এ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (০২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, ৪৩তম এবং ৪৪তম বিসিএসের মাধ্যমে আরও প্রায় তিন হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৪৩তম বিসিএসের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র নন-ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। আর ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার উভয় পদের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
৪৩তম বিসিএসের গেজেট বাকি, এ অবস্থায় নন-ক্যাডারে পদ কীভাবে বাড়ানো হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পিএসসি’র চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, সরকার চাইলে নন-ক্যাডারের পদ সংখ্যা বাড়াতে পারে। সেই বিধিমালা অনুযায়ীই নন-ক্যাডারের পদ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে।
৪৩তম বিসিএসে ২ হাজার ১৬৩ জন ক্যাডার পদের মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষা ক্যাডারে ৮০৩ জন, প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, কর ক্যাডারে ১০১ জন, তথ্য ক্যাডারে ৪৩ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জনে ৭৫ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে ২০২২ সালের ২৭ মে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন।
এই বিসিএসের মাধ্যমে ২৫টি ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ৪৪৯ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ জন, সাধারণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ৪০১ জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ২০ জন ও কারিগরি শিক্ষায় ৩৫৫ জন নিয়োগের কথা রয়েছে। তবে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ সংখ্যা আরও বাড়বে।